র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ দুপুরে ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে ধর্ষক মোঃ মেহেদী হাসান হাসান (১৮)’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
ভিকটিমের বাবা পেশায় একজন ফটোগ্রাফার এবং মা কসমেটিকস ব্যবসায়ী হওয়ায় প্রতিদিনের মতো গত ২৩ জুলাই ২০২৩ ইং উভয়েই নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। সেদিন দুপুরে শিশু ভিকটিমের মায়ের দোকানের আশেপাশে খেলাধুলার সময় হঠাৎ ভিকটিমকে দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের মা আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আশুলিয়া থানাধীন কোন্ডলবাগ এলাকার জনৈক ব্যক্তির মালিকানাধীন সুতার কারখানার পিছনের রুম থেকে ভিকটিমের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে ভিকটিমের মায়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামী মোঃ মেহেদী হাসান হাসান (১৮) পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা নিরুপায় হয়ে র্যাব-৪ এর নিকট অভিযোগ করলে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়ার কোন্ডলবাগ এলাকা থেকে ধর্ষক মোঃ মেহেদী হাসান হাসান (১৮)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনায় তার কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। আসামীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীর কর্মস্থল ও ভিকটিমের মায়ের দোকান পাশাপাশি হওয়ার কারণে দীর্ঘ দিন থেকে আসামী ভিকটিমকে নজরে রেখে আসছিলো
এবং পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী ভিকটিমকে একা পেয়ে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থানাধীন কোন্ডলবাগ এলাকার জনৈক ব্যক্তির মালিকানাধীন সুতার কারখানার পিছনের রুমে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।