ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
যুবদলের প্রতিনিধি সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

“সবাই আওয়ামী সরকারেরর পতনের দিকে তাকিয়ে আছে’’

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ৩৩৪১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন রোজা হলেও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসে পৌঁছেছি। চট্টগ্রামের বিশাল সমাবেশ থেকে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। এই বীর চট্টলা থেকেই পরবর্তি চুড়ান্ত আন্দোলনের যাত্রা হবে।

১৫ এপ্রিল (শনিবার) কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, চরম আন্দোলনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেশের মানুষ ভালো নেই, সবাই তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনার পতনের দিকে। টিসিবির লম্বা লাইনেই আওয়ামী উন্নয়নের জলন্ত উদাহরণ। বিনা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার নজির সারা দুনিয়ার কোথাও নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এই রেজিম সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জনগন তাদের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। হাসিনা সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেহবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোন নির্বাচন হবে না। আজ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ কথা বাস্তবায়নের। আগামী নির্বাচন একটি জাতীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লুটপাটের ইতিহাস বহু পুরানো। ৭৪ এর পুনরাবৃত্তি চলছে বর্তমানে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বিধায় মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে এখন। এই বাকশালী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যুদ্ধের ময়দানে আমরা লড়তে এসেছি। আমরাই লড়বো, আমরাই গড়বো। দেশের মানুষ সরকারের পতন চায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তারেক রহমান আজ প্রবাসে। বীরের বেশে তারেক রহমান দেশে আসবে। সেই অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ।
তিনি এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের নেতাকর্মীদের আগামীর চুড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এসএম ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহমদ উজ্বলের পরিচালনায় এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম লিটন, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মুন্না, মো.কামাল উদ্দিন দাদা, কেন্দ্রীয় যুবদলের উপজাতী বিষয়ক সম্পাদক আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ যথাক্রমে মো. শাহজাহান, হাসান জসিম, মাহবুবুল আলম সবুজ, জাকির হোসেন জসিম, মো. নুরুন্নবী, মো. জহির উদ্দিন মাসুম, মোহাম্মদ আজগর, এসএম মুরাদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুল আমিন খান, নাসির উদ্দিন, সৈয়দ রাশেদুল হাসান লিংকন, জিসান উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

যুবদলের প্রতিনিধি সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

“সবাই আওয়ামী সরকারেরর পতনের দিকে তাকিয়ে আছে’’

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন রোজা হলেও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসে পৌঁছেছি। চট্টগ্রামের বিশাল সমাবেশ থেকে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। এই বীর চট্টলা থেকেই পরবর্তি চুড়ান্ত আন্দোলনের যাত্রা হবে।

১৫ এপ্রিল (শনিবার) কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, চরম আন্দোলনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেশের মানুষ ভালো নেই, সবাই তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনার পতনের দিকে। টিসিবির লম্বা লাইনেই আওয়ামী উন্নয়নের জলন্ত উদাহরণ। বিনা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার নজির সারা দুনিয়ার কোথাও নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এই রেজিম সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জনগন তাদের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। হাসিনা সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেহবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোন নির্বাচন হবে না। আজ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ কথা বাস্তবায়নের। আগামী নির্বাচন একটি জাতীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লুটপাটের ইতিহাস বহু পুরানো। ৭৪ এর পুনরাবৃত্তি চলছে বর্তমানে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বিধায় মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে এখন। এই বাকশালী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যুদ্ধের ময়দানে আমরা লড়তে এসেছি। আমরাই লড়বো, আমরাই গড়বো। দেশের মানুষ সরকারের পতন চায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তারেক রহমান আজ প্রবাসে। বীরের বেশে তারেক রহমান দেশে আসবে। সেই অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ।
তিনি এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের নেতাকর্মীদের আগামীর চুড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এসএম ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহমদ উজ্বলের পরিচালনায় এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম লিটন, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মুন্না, মো.কামাল উদ্দিন দাদা, কেন্দ্রীয় যুবদলের উপজাতী বিষয়ক সম্পাদক আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ যথাক্রমে মো. শাহজাহান, হাসান জসিম, মাহবুবুল আলম সবুজ, জাকির হোসেন জসিম, মো. নুরুন্নবী, মো. জহির উদ্দিন মাসুম, মোহাম্মদ আজগর, এসএম মুরাদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুল আমিন খান, নাসির উদ্দিন, সৈয়দ রাশেদুল হাসান লিংকন, জিসান উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।