নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকা হতে আব্দুল্লাহ আল মনছুর (২১) নামের এক অটোরিক্সা চালক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিন দিন পরও তাকে পাওয়া না
গেলে ভিকটিমের মা ছেমনা খাতুন গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যার নম্বর- ৫০৬ ।
নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে র্যাব-১১, সিপিসি-১, ছায়া তদন্ত শুরু করলে ছায়া তদন্ত চলাকালীন সময়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ দুপুরে সোনারগাঁ থানাধীন বেইলর এলাকার নতুন রাস্তার পাশে একটি ডোবায় অর্ধগলিত ও ভাসমান অবস্থায় ভিকটিমের মৃত দেহ পাওয়া যায়, যা দেখে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন নিখোঁজ আব্দুল্লা আল মনসুর এর মৃত দেহ বলে সনাক্ত করে এবং সোনারগাঁ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতঃপর মাঠপর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং রাতে এই নৃশংস ক্লুলেস লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত পূর্বক সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা হতে অত্র হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু (৪০)’নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতার করে ।
গ্রেফতাকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার কাদিরদিয়া এলাকা হতে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা ব্যবসায়ী আসামী রমজান আলী (২২),নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমের ব্যাটারি চালিত রিক্সাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং ভিকটিমের ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী মঞ্জুর ও তার সহযোগীরা হত্যাকান্ডটি ঘটায়। হত্যার সাথে জড়িত আসামীরা ও ভিকটিম একই এলাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। ঘটনার দিন হত্যার সাথে জড়িত আসামীরা ভিকটিমকে হত্যা পূর্বক তার ব্যাটারী চালিত রিক্সটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সোনারগাঁ থানা এলাকায় নিয়ে যায়।
অতঃপর রাত গভীর হলে ভিকটিমকে তারা নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। অতঃপর রাত গভীর হলে ভিকটিমকে তারা নির্জন এলাকায় নিয়ে সুযোগ বুঝে পারস্পারিক সহযোগী,তায় হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে কচুরিপানা/ময়লা-আবর্জনা এবং পাশে থাকা একটি নৌকা দিয়ে ঢেকে রাখে ও ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি নিয়ে চলে যায়।পরবর্তীতে ০৭ ফেব্রুয়ারি-২৩ ইং ভিকটিমের ছিনতাইকৃত ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি আসামী রমজানের নিকট হস্তান্তর করে। অবশেষে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ উক্ত ক্রু-লেস হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামী মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু (৪০) ও তার সহযোগী রমজান আলী (২২) কে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমের ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি উদ্ধার করে।