ঢাকা,শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩: রাজধানীতে সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ২১ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছে। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মমফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এক বিবৃতিতে সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আর যেন কোন ধরনের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আহত হয়েছেন যারা তারা হলেন দৈনিক ইত্তেফাক:
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির।
একুশে টেলিভিশন: রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাংচুর করে জামায়াত-বিএনপির কর্মী। এসময় আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন আরিফুর রহমান।
ভোরের কাগজ: নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপি’র কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছেন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। তিনি জানিয়েছেন, তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছে যুবদল ও জামায়াত কর্মীরা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পোস্টার ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়। নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটেঙ্গেল মোড়ে বিএনপি কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
কালবেলা: হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক রাফসান জানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান।
এছাড়া কালবেলার সাংবাদিক আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক আহত হয়েছেন।
ইত্তেফাক: ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্সার মারুফ হামলার শিকার হয়েছেন।
ইনকিলাব: দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক এস এম মাসুম আহত হয়েছে।
গ্রীন টিভি: গ্রীন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি রুদ্র সাইফুল্লাহ ও ক্যামেরা পার্সন আরজু বিএনপির হামলায় আহত হয়েছেন।
ঢাকা টাইমস: ঢাকা টাইমসের স্টাফ রিপোর্টার সালেকিন তারিন হামলার শিকার হয়েছেন।
শেয়ার বিজ: শেয়ার বিজের সাংবাদিক হামিদুর রহমান পুলিশের টিয়ারশেলে আহত হয়েছেন।
নিউ এইজ: হামলায় আহত হয়েছেন নিউ এইজের আহাম্মদ ফয়েজ।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন এবং জোবায়ের আহমেদ আহত হয়েছেন।
ব্রেকিং নিউজ: ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার হয়েছেন।
দেশ রূপান্তর: দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি হামলার শিকার হয়েছেন।
যমুনা টেলিভিশন: নাইটেংগেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
মানবকণ্ঠ: এছাড়া রাজারবাগে মানবকণ্ঠের মনির জারিফের প্রেস লেখা সম্বলিত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।