
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুদক অভিযান এক চট্টগ্রাম-দোহাজারি মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজ রেলপথে রূপান্তর” শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৩০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ক্রয় প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় প্রাপ্ত তথ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, উক্ত প্রকল্পের মূল ডিপিপি (DPP)-তে ৩০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ক্রয়ের কোনো নির্দিষ্ট প্রাযুক্তিক স্পেসিফিকেশন উল্লেখ করা হয়নি। বরং এটি উল্লেখ ছাড়াই লোকোমোটিভ, ক্যাপিটাল স্পেয়ার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সামগ্রীসহ বিল অব কোয়ানটিটিজ (BOQ)-এর ভিত্তিতে ক্রয় প্রাক্কলন নির্ধারণ করা হয় প্রায় ২,৩৬৪ (দুই হাজার তিন শত চৌষট্টি) কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
স্পেসিফিকেশন অনুপস্থিতি ও প্রাক্কলন প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয় মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণপূর্বক ঘটনার প্রকৃত অবস্থা উদঘাটনপূর্বক টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দুদক অভিযান দুই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও -এ ওষুধ ক্রয় ও সরবরাহে অনিয়ম এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঠাকুরগাঁও হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং ওষুধ ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, স্টক রেজিস্টার, প্রাপ্তি ও বিতরণ রেজিস্টার, টেন্ডার ও অনুমোদন সংক্রান্ত দলিলপত্রসমূহ পর্যালোচনা করে।
একই সঙ্গে টিম সংশ্লিষ্ট ক্রয় কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট, স্টোর ইনচার্জ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাগণের বক্তব্য গ্রহণ করে। এনফোর্সমেন্ট টিম ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এমএসআর (MSR) টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ওষুধের চালান, বিল, সরবরাহ ও বিতরণ সংক্রান্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে অসঙ্গতি পায়। অভিযানকালে সংগৃহীত তথ্যাবলি পূর্ণাঙ্গরূপে বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দুদক অভিযান তিন যশোর জেলার বেনাপোল স্থলবন্দরে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি ও ঘুস লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিম বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব, মূল্যায়ন ও প্রশাসনিক শাখাসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। অভিযানকালে টিম ঘুষের লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ঘুষের নগদ টাকা উদ্ধারসহ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের সহযোগী স্থানীয় একটি এনজিও’র সদস্য হাসিবুর রহমানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ব্যক্তিদের অনৈতিক লেনদেনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।