মাসুদ রানাঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই।
কোনো বড় উৎসব এলেই রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে ওঠে অপরাধী চক্র।প্রায় দেড়শ’ স্পট ঘিরে সক্রিয় রয়েছে ২৫টি ছিনতাইকারী চক্র। তবে, ছিনতাইয়ের ঘটনায় সব সময় মামলা হয় না। ভুক্তভোগিদের অনেকেই মামলার বিষয়টিকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। অবশ্য পুলিশ বলছে, ছিনতাইসহ সব ধরণের অপরাধ দমনে সক্রিয় তারা।
এ’ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নগরবাসী।তারা বলছে, থানা, পুলিশ আর মামলাকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে অনেকেই ঘটনার পর অভিযোগ করে না। তথ্য উপাত্ত বলছে, রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে ২৫টি ছিনতাকারী চক্র। ১৪১টি স্পট ঘিরে চলে তাদের কর্মকাণ্ড। প্রতিটি চক্রে রয়েছে অন্তত ৫ জন করে সদস্য। আর প্রতিমাসে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে কমপক্ষে ৫০টি।
দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনারের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন ছিনতাইকারী দমনে রাজধানীর সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বাড়িয়েছি আমরা।আর ছিনতাইয়ের সংখ্যাগত দিক যাই হোক না কেন, আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অপরাধ প্রবণতা অনেক কম-বলছেন,এ পুলিশ কর্মকর্তা।মাদকে জড়িয়ে পড়ে তরুণরাই মূলত ছিনতাই করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো জানান গত ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ইং সকাল ১০.১৫ টায় ভিকটিম রিমনের পিতা রঞ্জিত চন্দ্র দে এর কাছে তার নিজের ছেলের ফোন নম্বর থেকে অচেনা কন্ঠের এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় “ তোমার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, নিজ ছেলেকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে” এই বলে ফোন রেখে দেয় এবং পরে আবার ফোন করে ৩টি নগদ নম্বর দেয়া হয়। যাতে ৫ লক্ষ টাকা প্রদানের জন্য ভিকটিমের বাবাকে হুমকি প্রদান করা হয়।উপায়ন্তর না দেখে ভিকটিমের বাবা আসামীদের ৩টি নাম্বারে নগদে মোট ১,০৫,০০০/- (এক লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করে এবং তার ছেলে ভিকটিম রিমনের নাম্বারে আরও ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করে।
খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি চৌকস টিমকে নিয়োজিত করা হয়। এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট জোন, এসি, ক্যান্টনমেন্ট জোন, অফিসার ইনচার্জ ও আইএডির মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর বাসন থানার সালনা বাজারস্থ এআর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে আসামী মোঃ ইকবাল হোসেন হাওলাদার (৩৫)মোঃ জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার(৪৪)মোঃ আলামিন(৩৫)দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ৪টি মোবাইল সেট, নগদ ৩৪,৭০০/- টাকা, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি মাল্টি কালারের গামছা ও সাত ফুট লম্বা রশি উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।