নিজস্ব প্রতিবেদক :- বরিশালের বাকেরগঞ্জের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সাবেক সংসদ রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তার পত্নী রত্না আমিন ও সাবেক পৌর মেয়র লোক মানুষের ডাকুয়ার গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে উপজেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনের সমন্বয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধন শেষে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের মাওলানা মাহামুদুন্নবী সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান।পৌর বিএনপির সদাস্য সচিব শাহিন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহবায়ক নাসির উদ্দিন জোমাদ্দার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হারুন-অর-রশিদ জোমাদ্দার, সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক ফিরোজ আলম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন রোকন ডাকুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহামুদুর হাসান জাহাঙ্গীর প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি আবুল হোসেন খান বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী অবৈধ একদলীয় আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সারাদেশে গুম, খুন, রাহাজানি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ভূমিদখল, লুটপাট ও সীমাহীন দুর্নীতি এবং গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার কারণে দেশের ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের আন্দোলনে খুনি হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
সারা বাংলার সর্বস্তরের মানুষ আজ দুর্নীতিবাজদের গ্রেফপ্তারের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, খুনি হাসিনার দোসর বাকেরগঞ্জের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সাবেক সংসদ সদস্যে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেগম নাসরিন জাহান রতনা ও সাবেক মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ১৬ বছর সীমাহীন দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ সর্বস্তরের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। সভায় অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।এবং তারা আরো জানান,যতক্ষণ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ এই শীর্ষ তিন দুর্নীতিবাজকে গ্রেফপ্তার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।
