নিজস্ব প্রতিবেদক :- নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পহরডাঙ্গা বাজারে অবৈধ কোয়ান্টাম মেশিনে রুগী দেখার নামে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক কাজী বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। কম্পিউটারে রুগী দেখা হয় এমন চটকদারী বিজ্ঞাপন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার সহজ সরল মানুষের সাথে করে আসছেন প্রতারণা। এরই সুবাদে তার ফার্মেসীর নাম দিয়েছেন আলিম ডিজিটাল ফার্মেসী। ১৭ আগষ্ট (শনিবার) সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ওই মেশিনে কাজী বিল্লাল হোসেন রুগী দেখছেন এবং হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা।
মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল
জানা গেছে কিছু দিন আগে ওই বাজারে জনৈক হোমিও ডাক্তার কোয়ান্টাম মেশিনে রুগীর চিকিৎসা দিতেন এবং পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ সহকারী শেখ কেরামত আলীর প্রচেষ্টায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অভিযানে তাকে বাজার ছাড়া করা হয় বলে নিজেই জানিয়েছেন। অথচ তার বিপরীত পার্শ্বেই কাজী বিল্লাল হোসেন অবৈধ কোয়ান্টাম মেশিনের মাধ্যমে রুগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছেন বলে জানা যায়। তবে এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি কেন? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক কাজী বিল্লাল হোসেন বলেন, কোয়ান্টাম মেশিন অবৈধ তিনি জানেননা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলে তিনি আর করবেন না বলে জানান। তিনি আরো বলেছেন, রোগ নির্নয়ে এ মেশিনে কিঞ্চিৎ ধারনা পাওয়া যায় এবং এ মেশিনে রুগী দেখলে রুগীরা আশ্বস্ত হয়। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই রুগীকে চিকিৎসা দেন তিনি বলে জানান।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, কোয়ান্টাম মেশিনে রুগী দেখার কোন বৈধতা নেই। এদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই বিধি মোতাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।