ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে

দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩০৭০ বার পড়া হয়েছে

 

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা আরোও বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।

এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা, মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে

দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা আরোও বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।

এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা, মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।