ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

রাজধানীর গাবতলীতে মসজিদ এর নাম করে হুজুরের জায়গা দখলের পায়তারা মোয়াজ্জেম থেকে এখন কোটিপতি!

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • ৩০৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব  প্রতিবেদক :- রাজধানীর বড়বাজার গাবতলী বাইতুল মামুর শাহী জামে (ক্লাব)মসজিদটি মির্ঝা মোস্তফা গংদের ক্রয়কৃত নিজস্বসম্পত্তিটি পরিত্যক্ত এই জায়গাটিতে এক সময় ক্লাব ঘর পরবর্তীতে অলৌকিকভাবে মসজিদ নির্মাণকরা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতি দেখিয়ে এককছত্র ভাবে ইমাম কৌশল খাটিয়ে জায়গা দখল করারপাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানেযানা যায়, নাটোরের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রেজাউল করিম টাকার অভাবে বেশি লেখাপড়া করতেনা পেড়ে মাদ্রাসার গন্ডি পারকরে চলে আসেন গাবতলির বেড়ীবাঁধ এলাকায়, পরবর্তীতে বাগবাড়িবারুণীপাড়া মসজিদে মোয়াজ্জেম হিসেবে চাকুরী নেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নিরেজাউলকে। এরপর ক্লাব মসজিদে এসে ইমামের দায়িত্ব নিয়ে হয়ে যান কোটিপতি। যানা যায়, মসজিদেরকোন কমিটি না থাকায় আয়ব্যয়ের কোন হিসাব না দিয়েই রেজাউল হুজুরে একক নেতৃত্বে সকলকার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মসজিদটির টিনের ঘড় ভেঙে ফাউন্ডেশন দিয়ে বিল্ডিং এর কাজশুরু হয়। আর এতেই কপাল খুলে যায় হুজুরের। শুরুহয় নতুন করে চাঁদাবাজি, মসজিদের সামনে দান বাক্স ফেলে টাকা কালেকশন সহ বিভিন্ন জায়গায়চিঠি দিয়ে মসজিদের নামে কালেকশন শুরু হয়। কয়েক বছরেই মসজিদের পাশে দুইটি মাদ্রাসাদারুল কুরআন একাডেমি ও দারুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসা নামে ভাড়া নেন, যার এডভান্স প্রায়৬০ লাখ টাকা। ইমাম রেজাউলের এত আয়ের উৎস কিভাবে আসলো এমন প্রশ্নে এলাকাবাসী বলেন,কয়েকদিনআগে মসজিদে রড চুরি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে ইমামের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সংস্থা থেকেঅনুদান পাওয়া টাকার কোন হিসাব সঠিক দিতে পারেনি হুজুর।

জায়গাটির ওয়ারিশেমালিক মির্জা মাসুদ বলেন, ১৯৬৮ সালে আমার বাবা মির্জা মোস্তফা জায়গাটি ক্রয় করেন।জায়গাটি ফাঁকা থাকা অবস্থায় স্থানের কিছু যুবক আমার পিতার কাছে দাবি করেন একটা ক্লাবকরার। পরে অস্থায়ীভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি ক্লাব ঘর করা হয়। পরবর্তীতে সেখানেমাদকের আড্ডা হওয়ায় ওই ঘরে নামাজের ব্যবস্থা করেন আমার পিতা মরহুম মোস্তফা। কিন্তুআস্তে আস্তে সেই নামাজের জায়গায় আশেপাশের লোকজন এসে নামাজ পড়তে থাকে পরবর্তীতে একটাসময় সেখানে মসজিদ তৈরি করে ফেলে এলাকাবাসী। কিন্তু আমার পিতা মুসুল্লিদের কথা চিন্তাকরে কিছু না বলে আশেপাশের জায়গাগুলো নিজ দায়িত্বে কাজ করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়কিছু কূচুক্রি মহল। মসজিদে ইমাম রেজাউল সাহেব তার নেতৃত্বে মুসল্লিদের উস্কিয়া ধর্মীয়অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ওই যায়গা মসজিদের বলে মুসল্লিদের উসকি দেন। এবং তিনি মসজিদেরইমাম হয়ে মামলার বাদী হন যায়গা দখল করতে, আদালত কাগজপত্র দেখে আমাদের নামে রায় দেনপরপর দুটি রায় আমরা পেয়েও এই ইমামের কারণে দখলে যেতে পারছি না। নামাজের পরে মসজিদেমুসল্লীদের বিভ্রান্ত করেন এই জায়গার ব্যাপারে। এই মসজিদটিতে কোন কমিটি না থাকায় হুজুরের একক নিয়ন্ত্রণেসকল কার্যক্রম চলে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হুজুর এখন কোটিপতি।

ইমাম রেজাউলক্যামেরার সামনে না আসলেও মুঠো ফোনে বলেন, এ বিষয়ে থানা অবগত আছে, মসজিদের জায়গানা হইলে মসজিদ ভেঙে দেন। আমি কিছু জানি না মসজিদ ওয়াকফো করা আছে কিনা জানতে চাইলেতিনি না করে বলেন, এখানে জুমার নামাজ পড়া যাবে কিনা মুফতি সাহেবরা জানেন আমি শুধুনামাজ পড়াই আমি এতকিছু আমি জানি না। এলাকাবাসীবলেন, এই যায়গাতো মোস্তফা চাচার,চাচা মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মাসুদ তো অনেক চেষ্টাকরছে। শুনছি মামলা করে রায় পায়ছে,এই হুজুর তো খরাপ ঝামালার লোক। কিভাবে মসজিদ হলো এইযায়গা আমরা জানিনা,এই মসজিদের যায়গার কোন দলিল পত্র আজ পর্যন্ত দেখি নাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

রাজধানীর গাবতলীতে মসজিদ এর নাম করে হুজুরের জায়গা দখলের পায়তারা মোয়াজ্জেম থেকে এখন কোটিপতি!

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব  প্রতিবেদক :- রাজধানীর বড়বাজার গাবতলী বাইতুল মামুর শাহী জামে (ক্লাব)মসজিদটি মির্ঝা মোস্তফা গংদের ক্রয়কৃত নিজস্বসম্পত্তিটি পরিত্যক্ত এই জায়গাটিতে এক সময় ক্লাব ঘর পরবর্তীতে অলৌকিকভাবে মসজিদ নির্মাণকরা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতি দেখিয়ে এককছত্র ভাবে ইমাম কৌশল খাটিয়ে জায়গা দখল করারপাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানেযানা যায়, নাটোরের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রেজাউল করিম টাকার অভাবে বেশি লেখাপড়া করতেনা পেড়ে মাদ্রাসার গন্ডি পারকরে চলে আসেন গাবতলির বেড়ীবাঁধ এলাকায়, পরবর্তীতে বাগবাড়িবারুণীপাড়া মসজিদে মোয়াজ্জেম হিসেবে চাকুরী নেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নিরেজাউলকে। এরপর ক্লাব মসজিদে এসে ইমামের দায়িত্ব নিয়ে হয়ে যান কোটিপতি। যানা যায়, মসজিদেরকোন কমিটি না থাকায় আয়ব্যয়ের কোন হিসাব না দিয়েই রেজাউল হুজুরে একক নেতৃত্বে সকলকার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মসজিদটির টিনের ঘড় ভেঙে ফাউন্ডেশন দিয়ে বিল্ডিং এর কাজশুরু হয়। আর এতেই কপাল খুলে যায় হুজুরের। শুরুহয় নতুন করে চাঁদাবাজি, মসজিদের সামনে দান বাক্স ফেলে টাকা কালেকশন সহ বিভিন্ন জায়গায়চিঠি দিয়ে মসজিদের নামে কালেকশন শুরু হয়। কয়েক বছরেই মসজিদের পাশে দুইটি মাদ্রাসাদারুল কুরআন একাডেমি ও দারুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসা নামে ভাড়া নেন, যার এডভান্স প্রায়৬০ লাখ টাকা। ইমাম রেজাউলের এত আয়ের উৎস কিভাবে আসলো এমন প্রশ্নে এলাকাবাসী বলেন,কয়েকদিনআগে মসজিদে রড চুরি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে ইমামের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সংস্থা থেকেঅনুদান পাওয়া টাকার কোন হিসাব সঠিক দিতে পারেনি হুজুর।

জায়গাটির ওয়ারিশেমালিক মির্জা মাসুদ বলেন, ১৯৬৮ সালে আমার বাবা মির্জা মোস্তফা জায়গাটি ক্রয় করেন।জায়গাটি ফাঁকা থাকা অবস্থায় স্থানের কিছু যুবক আমার পিতার কাছে দাবি করেন একটা ক্লাবকরার। পরে অস্থায়ীভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি ক্লাব ঘর করা হয়। পরবর্তীতে সেখানেমাদকের আড্ডা হওয়ায় ওই ঘরে নামাজের ব্যবস্থা করেন আমার পিতা মরহুম মোস্তফা। কিন্তুআস্তে আস্তে সেই নামাজের জায়গায় আশেপাশের লোকজন এসে নামাজ পড়তে থাকে পরবর্তীতে একটাসময় সেখানে মসজিদ তৈরি করে ফেলে এলাকাবাসী। কিন্তু আমার পিতা মুসুল্লিদের কথা চিন্তাকরে কিছু না বলে আশেপাশের জায়গাগুলো নিজ দায়িত্বে কাজ করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়কিছু কূচুক্রি মহল। মসজিদে ইমাম রেজাউল সাহেব তার নেতৃত্বে মুসল্লিদের উস্কিয়া ধর্মীয়অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ওই যায়গা মসজিদের বলে মুসল্লিদের উসকি দেন। এবং তিনি মসজিদেরইমাম হয়ে মামলার বাদী হন যায়গা দখল করতে, আদালত কাগজপত্র দেখে আমাদের নামে রায় দেনপরপর দুটি রায় আমরা পেয়েও এই ইমামের কারণে দখলে যেতে পারছি না। নামাজের পরে মসজিদেমুসল্লীদের বিভ্রান্ত করেন এই জায়গার ব্যাপারে। এই মসজিদটিতে কোন কমিটি না থাকায় হুজুরের একক নিয়ন্ত্রণেসকল কার্যক্রম চলে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হুজুর এখন কোটিপতি।

ইমাম রেজাউলক্যামেরার সামনে না আসলেও মুঠো ফোনে বলেন, এ বিষয়ে থানা অবগত আছে, মসজিদের জায়গানা হইলে মসজিদ ভেঙে দেন। আমি কিছু জানি না মসজিদ ওয়াকফো করা আছে কিনা জানতে চাইলেতিনি না করে বলেন, এখানে জুমার নামাজ পড়া যাবে কিনা মুফতি সাহেবরা জানেন আমি শুধুনামাজ পড়াই আমি এতকিছু আমি জানি না। এলাকাবাসীবলেন, এই যায়গাতো মোস্তফা চাচার,চাচা মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মাসুদ তো অনেক চেষ্টাকরছে। শুনছি মামলা করে রায় পায়ছে,এই হুজুর তো খরাপ ঝামালার লোক। কিভাবে মসজিদ হলো এইযায়গা আমরা জানিনা,এই মসজিদের যায়গার কোন দলিল পত্র আজ পর্যন্ত দেখি নাই।