ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

গরিব ও অসহায় মানুষদের লাখপতি করাই যার নেশা !

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
  • ৩০৭৪ বার পড়া হয়েছে

আবু নাঈম সজল : বর্তমান বাজারে নিম্নবিত্ত মানুষের যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানেই লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাতো অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। কিন্তু সেই আকাশের চাঁদটাই যেন হাতে দিয়ে দেয়, নোয়াখালী জেলার সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ। একের পর এক অসহায় এবং হতদরিদ্র মানুষদের লাখপতি বানিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।

কখনো অসহায় দিনমজুর, কখনো সন্তানবিহীন বাবা/মা, আবার কখনো স্বামীহীন বিধবা নারীকে করেছেন লাখপতি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো বাদ যায়নি এই প্রকল্প।

গতকাল সন্ধায় নোয়াখালী জেলাধীন সেনবাগ উপজেলার ৫-নং অর্জুনতলা ইউনিয়নে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দক্ষিণ মানিকপুর সৈয়দ হারুন হারুনের নিজ বাড়ি *সৈয়দ মঞ্জিলে* লটারির মাধ্যমে দুজন অসহায় মানুষকে লাখোপতি করেছেন তিনি।

সৈয়দ হারুনের ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা চেতনায় অনুকরণযোগ্য বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে, এবার *ইচ্ছে পূরণ প্রকল্পের* অধীনে কয়েকটি পরিবারের মানুষদেরকে তাঁদের স্বপ্নের বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। নিম্নবিত্ত মানুষরা যেখানে একটুখানি সবজি কিনতেও অনেকটা আর্থিক সংকটে ভুগেন, সেখানে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে এই প্রথমবার হতদরিদ্র এবং অসহায় ৪ পরিবারকে তাঁদের নিজের মনের মতো, নিজের ইচ্ছামত বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে উক্ত অসহায় পরিবারের কর্তা ব্যক্তি যে সমস্ত পণ্য স্বপ্নেও ক্রয়ের কথা কোনদিন ভাবেননি, এক সপ্তাহের জন্য তেমনি পণ্যসমূহ (যেমন, বাজারের সবচেয়ে বড় মাছ, সবচেয়ে বড় মুরগি, ইত্যাদি) ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের সহযোগিতায় ইচ্ছামত কিনে নিতে পারবেন।

নতুন দুজন লাখপতি হলেন, ইদিলপুর গ্রামের অসহায় বিধবা মনি বেগম ও ছিলোনিয়া গ্রামের অসহায় বিধবা তাসলিমা বেগম।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব, লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ জানান, “মানুষের জন্য কিছু করতে পারা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার, আর সেই মানুষগুলো যদি হয় অসহায় তাহলেতো কোন কথাই নেই! আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করি। আমার ব্যবসার একটা অংশ আমি আলাদা করেই রাখি মানুষের সাহায্যের জন্য। সংগঠন এর বাহিরেও আমি অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম সবসময়। শুধু আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই নয়, সেনবাগের অনেক সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমেও আমি অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

গরিব ও অসহায় মানুষদের লাখপতি করাই যার নেশা !

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

আবু নাঈম সজল : বর্তমান বাজারে নিম্নবিত্ত মানুষের যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানেই লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাতো অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। কিন্তু সেই আকাশের চাঁদটাই যেন হাতে দিয়ে দেয়, নোয়াখালী জেলার সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ। একের পর এক অসহায় এবং হতদরিদ্র মানুষদের লাখপতি বানিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।

কখনো অসহায় দিনমজুর, কখনো সন্তানবিহীন বাবা/মা, আবার কখনো স্বামীহীন বিধবা নারীকে করেছেন লাখপতি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো বাদ যায়নি এই প্রকল্প।

গতকাল সন্ধায় নোয়াখালী জেলাধীন সেনবাগ উপজেলার ৫-নং অর্জুনতলা ইউনিয়নে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দক্ষিণ মানিকপুর সৈয়দ হারুন হারুনের নিজ বাড়ি *সৈয়দ মঞ্জিলে* লটারির মাধ্যমে দুজন অসহায় মানুষকে লাখোপতি করেছেন তিনি।

সৈয়দ হারুনের ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা চেতনায় অনুকরণযোগ্য বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে, এবার *ইচ্ছে পূরণ প্রকল্পের* অধীনে কয়েকটি পরিবারের মানুষদেরকে তাঁদের স্বপ্নের বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। নিম্নবিত্ত মানুষরা যেখানে একটুখানি সবজি কিনতেও অনেকটা আর্থিক সংকটে ভুগেন, সেখানে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে এই প্রথমবার হতদরিদ্র এবং অসহায় ৪ পরিবারকে তাঁদের নিজের মনের মতো, নিজের ইচ্ছামত বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে উক্ত অসহায় পরিবারের কর্তা ব্যক্তি যে সমস্ত পণ্য স্বপ্নেও ক্রয়ের কথা কোনদিন ভাবেননি, এক সপ্তাহের জন্য তেমনি পণ্যসমূহ (যেমন, বাজারের সবচেয়ে বড় মাছ, সবচেয়ে বড় মুরগি, ইত্যাদি) ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের সহযোগিতায় ইচ্ছামত কিনে নিতে পারবেন।

নতুন দুজন লাখপতি হলেন, ইদিলপুর গ্রামের অসহায় বিধবা মনি বেগম ও ছিলোনিয়া গ্রামের অসহায় বিধবা তাসলিমা বেগম।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব, লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ জানান, “মানুষের জন্য কিছু করতে পারা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার, আর সেই মানুষগুলো যদি হয় অসহায় তাহলেতো কোন কথাই নেই! আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করি। আমার ব্যবসার একটা অংশ আমি আলাদা করেই রাখি মানুষের সাহায্যের জন্য। সংগঠন এর বাহিরেও আমি অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম সবসময়। শুধু আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই নয়, সেনবাগের অনেক সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমেও আমি অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।”