মামুনুর রশীদ নোমানী,রাজাপুর থেকে ফিরে : ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা, দক্ষতা, চৌকস আর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তাকে করেছে অনন্য। পুলিশ কর্মকর্তা হলেও নানামুখি মানবিক কাজ করে কুড়িয়েছেন সুখ্যাতি। সময়োপযোগী ও দূরদর্শী নেতৃত্বগুনের কারণে সর্ব মহলে রয়েছে তার সুনাম।তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন সকলে বহুবিদ কারনে। তিনি রাজাপুর ও কাঠালিয়া থানা সার্কেলের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত।
অপরাধ প্রবন থানার মধ্যে রাজাপুর ও কাঠালিয়া অন্যতম।চুরি,ডাকাতি,হামলা মামলা মাদক,জাল টাকা, বিকাশ প্রতারনা,সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং দমনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মোঃ মাসুদ রানা।
রাজাপুর ও কঠালিয়া সার্কেলে দায়িত্ব নেয়ার পর এ দুটি থানাগুলোতে শৃংখলা ফিরিয়ে এনে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করেছেন। এরইমধ্যে তার এই উদ্যোগ পুলিশে নজির তৈরি করেছে। দুটি থানায় পুলিশের প্রতি মানুষের যে ভাবমূর্তি তা বদলে দিয়েছেন মোঃ মাসুদ রানা। তার বহুমুখী ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণেই পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও প্রশংসা বেড়েছে। তিনি প্রমাণ করেছেন সৃজনশীলতা, মেধা, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নেতৃত্ব দিলে পুলিশের মতো একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ বাহিনীকে জনগণের বন্ধুতে পরিণত করা যায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুটি থানা এরিয়ায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা। ফলে কোথাও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি।নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে হওয়ার জন্য নিরবে কাজ করেছেন তিনি।বিভিন্ন স্থানে কঠোর নজরধারীর কারনে সন্ত্রাসীরা সাহস পায়নি বিগত দিনের মত বিশৃংখল পরিবেশ তৈরী করার।ছোট খাটো যেখানেই সমস্যা হয়েছে তা অতি দ্রুততার সাথে করেছেন নিরসন।
ঘুর্নিঝড় রিমলের পরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে। রাস্তায় পরে থাকা গাছ ও ডালপালা অপসারনে দ্রুত ভুমিকা নেয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার,চোরদের আটকের কারনে কমেছে অপরাধ। মাদক বিক্রেতাদের আটক ও মনিটরিংয়ের কারনে কমেছে মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা । দুটি থানা এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,অপরাধ লিস্টসহ সবকিছু হালনাগাদ করেছেন। তার বিশেষ নজরধারীর কারনে পাল্টে গেছে রাজাপুর ও কাঠালিয়া থানার চিত্র।
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। পাশাপাশি পুলিশি সেবা যেমন- মামলা, জিডি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিংবা অন্য কোনো সেবা নিতে টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয় না। এর জন্য কোনো সুপারিশ বা তদবিরও লাগে না। নিঃসংকোচে একজন মানুষ থানায় চলে আসতে পারে এবং তার কাঙ্খিত সেবাটা নিতে পারে সহজেই। রাজাপুর ও কাঠালিয়া থানা দালাল মুক্তের জন্য সর্বদা সজাগ তিনি।এক সময়ে রাজাপুর থানায় দালালদের তদবীর ছাড়া মামলা এমনকি সাধারন ডায়েরী পর্যন্ত নেয়া হতোনা।তিনি যোগদানের পরেই দালাল ছাড়াই মামলা ও সাধারন ডায়েরী করতে পারছেন ভুক্তভুগীরা।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন,সার্কেল অফিস রাজাপুরে হওয়ায় রাজাপুরে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড কমেছে।কমেছে মাদক ব্যবসা।এখানের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার অত্যান্ত দক্ষতার সাথে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছেন।তবে তারা রাজাপুর থানায় তিন বছরের অধিক দ্বায়িত্বে থাকা এস আইদের অনত্র বদলীর দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারের নিকট রাজাপুর থানাকে সম্পুর্ন দালাল ও ঘুষ মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন,মোঃ মাসুদ রানা যোগদানের পরেই বস্তায় বস্তায় গাজাসহ মাদকদ্রব্য মাদক বিক্রেতাসহ আটক করেছেন।ফলে রাজাপুর এখন অনেকটাই মাদক মুক্ত।চুরির উপদ্রব এখন নেই।ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের কারনে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গণমাধ্যমের উচিত মাদক ,চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ বড় বড় অভিযানের সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা। তাহলে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা দক্ষতা ও যোগ্যতার কারনে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি বিকাশ প্রতারক আটক,চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর,মাদক বিক্রেতাদের আটক,মাদক উদ্ধারসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় কমেছে রাজাপুর ও কাঠালিয়ায় অপরাধ মুলক কর্মকান্ড।
প্রতি শুক্রবার রাজাপুর সার্কেল অফিস চত্বরে শিশুদের আত্মরক্ষা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কারাতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নৈতিকতা, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতামুলক কথা বলেন। প্রতি শুক্রবার জুমআর নামাজে এক এক এলাকায় গিয়ে আইন -শৃংখলা বিষয়ক কথা বলে সচেতন করছেন। বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে ধারাবাহিকভাবে কমিউনিটি পুলিশিং সভা করছেন। ফলে দ্রুততার সাথে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় যেকোন শ্রেনীর মানুষ নির্দিধায় সার্কেল অফিসে এসে কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন । সেবা প্রাপ্তিন জন্য থাকছে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারের দরজা উম্মুক্ত।বিরোধ মিমাংসায়, স্কুল পুলিশিং, মসজিদে কথা বলা ও মাদক বিরোধী অভিযানের কারনে প্রশংসিত হয়েছেন সকলের কাছে।
পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন। যার সুফল পাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশী মানুষ। ফলে তিনি রাজাপুর ও কাঠালিয়ার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।