মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সহিত জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভিকটিমের পরিচয় জানা প্রয়োজন।
গত ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ৭.ঘটিকায় ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন কৈজুরী ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের চক মাঠের মধ্যে খন্ডিত দেহের আগুনে পোড়ানো মাথা সহ একটি হাত এবং একই দিনে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কুল্লা ইউনিয়নের বড় চন্দ্রাইল গ্রামে নাভির নীচ থেকে পা পযর্ন্ত এবং ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ একটি হাত সহ দেহের মাঝ খানের খন্ডিত অংশ ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন সাদাপুর নামক স্থান হতে উদ্ধার করা হয়।
ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, উদ্ধারকৃত খন্ডিত দেহের তিনটি অংশ একই নারীর । খন্ডিত দেহের মাথা সহ ডান হাত সম্পুর্ন আগুনে পোড়ার কারনে চেহারা বোঝা যায় না এবং খন্ডিত দেহের মাঝ খানের অংশ সহ বাম হাত সম্পুর্ন পচেঁ যাওয়ার কারনে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।খন্ডিত লাশের গায়ে কোন বস্ত্র নাই।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে যে,ইং ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ৭.ঘটিকার পুর্বে যে কোন দিন যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা দু্র্বৃত্তরা অজ্ঞাত কারনে অজ্ঞাত কোন স্থানে উল্লেখিত অজ্ঞাতনামা মহিলা বয়স অনুমান (১৫-২৫)-কে পরিকল্পিত মতে নৃশংস ভাবে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে উক্ত লাশের বর্ণিত অংশ গুলো উল্লেখিত স্থান গুলোতে ফেলিয়া রাখিয়াছে।
অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে উল্লেখিত অজ্ঞাতনামা মহিলা বয়স (১৫-২৫)-কে নৃশংস ভাবে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ খন্ড খন্ড করিয়া খন্ডিত লাশের বর্ণিত অংশ গুলো উল্লেখিত ঘটনাস্থল গুলোতে ফেলিয়া রাখে।
এমতাবস্থায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সহিত জড়িত আসামী/আসামীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা মহোদয় অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তের লক্ষ্যে সংবাদ প্রচারের সহায়তা চেয়েছেন।