ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

হরিপুরে প্রকৃতি কে সভামন্ডিত করেছে হলুদ বরণের সোনালু ফুল

  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • ৩০৬৩ বার পড়া হয়েছে

সিরাজুল ইসলাম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ:- সোনা বরণ হলুদ রং তাই ডাক নাম সোনালু।গ্রীষ্মের পথঘাটে সোনালী হলুদ ফুলে প্রায় নুয়ে পড়া সোনালু/সোনাইল গাছ এই ঋতুর এক মন মাতানো দৃশ্য। সোনালী তুষারে ঢেকে যাওয়া এই গাছ গ্রীষ্মের প্রকৃতির একটি বড় অংশ দখল করে রাখে।
এমনকি বসন্তেও এর ফুলেল রূপ দেখা যায় না। সমস্ত বসন্ত কাল হলো এর প্রস্তুতি কাল, পুরোটা বসন্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিয়ে বৈশাখের শুরুতে, ইংরেজি এপ্রিল/মে মাসের দিকে এই সোনালী হলুদ অপূর্ব সুন্দর ফুল ফোটা শুরু হয়। এর হালকা মিষ্টি সুবাস, এর কাছে প্রজাপতি, মৌমাছি, পাখি ডেকে আনে।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Cassia fistula. ইংরেজি নাম Golden shower.
বাংলায় এর অনেক মনোহর নাম আছে, সোনালু বা সোনাইল।ইংরেজিতে
Golden shower বলি অথবা সোনালু/সোনাইল, প্রতিটিই এই ফুলের অপূর্ব সোনাঝরা রূপের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এই যে গ্রীষ্মে তার আবির্ভাব এবং পুরো গাছ কে তার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেয়া ( শুধু গাছকেই বলি কেন, পুরো প্রকৃতিকেই সে তার সোনাঝরা রঙ্গে সাজায় ), এই বৈশিষ্ট্য সোনালু ফুল কে এক অন্য কাতারে দাঁড় করায়।
গ্রাম গন্জে এর আরেক নাম আছে বানর লাঠি। মূলত ফলের কারণেই এরূপ নামকরণ লম্বা লাঠির মতো ফল ধরে এই গাছে। মিষ্টি উপাদেয় এই ফল বানরের বেশ পছন্দের তালিকায় থাকায় ‘বাঁদরলাঠি’ নামকরণ টি সার্থকতা পেয়েছে।ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় রাস্তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই মনোরম শোভিত সোনালি বর্ণের এই সোনালু ফুল সভা ছড়াচ্ছে প্রকৃতিকে মাথা নুয়ে স্বাগত জানাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের। হরিপুর উপজেলার মোঃতসলিম উদ্দিন জানান আগে গ্রামে রাস্তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে এই ফুলের গাছ কে কিন্তু অতিরিক্ত গাছ পালা নিধনের ফলে এই ঔষধী সম্পূর্ণ গাছ গুলো এখন কমই নজরে পড়ে।তাই আমাদের সকলের উচিত প্রকৃতির বুকে এই ঔষধী সম্পূর্ণ গাছ টি টিকেয়ে রাখা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

হরিপুরে প্রকৃতি কে সভামন্ডিত করেছে হলুদ বরণের সোনালু ফুল

আপডেট সময় : ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সিরাজুল ইসলাম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ:- সোনা বরণ হলুদ রং তাই ডাক নাম সোনালু।গ্রীষ্মের পথঘাটে সোনালী হলুদ ফুলে প্রায় নুয়ে পড়া সোনালু/সোনাইল গাছ এই ঋতুর এক মন মাতানো দৃশ্য। সোনালী তুষারে ঢেকে যাওয়া এই গাছ গ্রীষ্মের প্রকৃতির একটি বড় অংশ দখল করে রাখে।
এমনকি বসন্তেও এর ফুলেল রূপ দেখা যায় না। সমস্ত বসন্ত কাল হলো এর প্রস্তুতি কাল, পুরোটা বসন্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিয়ে বৈশাখের শুরুতে, ইংরেজি এপ্রিল/মে মাসের দিকে এই সোনালী হলুদ অপূর্ব সুন্দর ফুল ফোটা শুরু হয়। এর হালকা মিষ্টি সুবাস, এর কাছে প্রজাপতি, মৌমাছি, পাখি ডেকে আনে।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Cassia fistula. ইংরেজি নাম Golden shower.
বাংলায় এর অনেক মনোহর নাম আছে, সোনালু বা সোনাইল।ইংরেজিতে
Golden shower বলি অথবা সোনালু/সোনাইল, প্রতিটিই এই ফুলের অপূর্ব সোনাঝরা রূপের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এই যে গ্রীষ্মে তার আবির্ভাব এবং পুরো গাছ কে তার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেয়া ( শুধু গাছকেই বলি কেন, পুরো প্রকৃতিকেই সে তার সোনাঝরা রঙ্গে সাজায় ), এই বৈশিষ্ট্য সোনালু ফুল কে এক অন্য কাতারে দাঁড় করায়।
গ্রাম গন্জে এর আরেক নাম আছে বানর লাঠি। মূলত ফলের কারণেই এরূপ নামকরণ লম্বা লাঠির মতো ফল ধরে এই গাছে। মিষ্টি উপাদেয় এই ফল বানরের বেশ পছন্দের তালিকায় থাকায় ‘বাঁদরলাঠি’ নামকরণ টি সার্থকতা পেয়েছে।ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় রাস্তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই মনোরম শোভিত সোনালি বর্ণের এই সোনালু ফুল সভা ছড়াচ্ছে প্রকৃতিকে মাথা নুয়ে স্বাগত জানাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের। হরিপুর উপজেলার মোঃতসলিম উদ্দিন জানান আগে গ্রামে রাস্তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে এই ফুলের গাছ কে কিন্তু অতিরিক্ত গাছ পালা নিধনের ফলে এই ঔষধী সম্পূর্ণ গাছ গুলো এখন কমই নজরে পড়ে।তাই আমাদের সকলের উচিত প্রকৃতির বুকে এই ঔষধী সম্পূর্ণ গাছ টি টিকেয়ে রাখা।