মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারা
বৃষ্টি হলেই হাটু পানিতে তলিয়ে যায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের ডাকবাংলো–ডুমুরিয়া সড়কটি । এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। আশপাশের প্রায় সব সড়ক উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেলেও ২০ বছরের বেশি সময়েও কার্পেটিং কাজ না হওয়ায় ডাকবাংলো সড়কটির বেহাল দশা ।
উপজেলা সদর–সংলগ্ন এই এলাকায় সরকারি–বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস। সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বহুতল ভবন। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সড়কটির উন্নয়নে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি। বর্তমানে আনোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের কারণে এখন সড়কটি মাঠ থেকে ৪ ফুট নিচু হয়ে গেছে। আগে পানি চলাচলের ব্যবস্থা ছিল। সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই কোমর সমান পানি হয়ে যায়। তখন এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে পানি মাড়িয়ে উপজেলায় আসতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির দুই পাশে শুধু সাধারণ মানুষ বসবাস করে না। এখানে অর্ধেকের বেশি সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী, পুলিশ, শিক্ষক থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ বসবাস করেন। সড়কটি বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করে। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে। কাদাপথ দিয়ে অসুস্থ রোগী, প্রসূতি ও শিশুদের চলাচলে ভোগান্তি হয়। ২–৩ শত মিটার সড়কে ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হয়। শুধু তাই নয়, উপজেলা পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং থেকে সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন স্থাপনার সীমানা প্রাচীর, পূর্ব পাশে এসে এক পাশে সীমানা প্রাচীর, অন্য পাশে স্কুলের পানি চলাচলের স্থানটি মাঠ ভরাটের কারণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সড়কটি মাঠ থেকে প্রায় ৩/৪ ফুট নিচু হয়ে গেছে। এর ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতাযাত করা কষ্টকর হবে।
ওই এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষিকা সাহেদা বেগম বলেন , উপজেলা পরিষদের সামনে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন থাকা নজিরবিহীন। হাজারো স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা হাঁটু পানির কারণে বিপাকে পড়ে যাই। মহিলারা তো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা ৭ নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব বলেন, এ রাস্তার কাজ এর টেন্ডার হয়েছে অনেক আগে। ঠিকাদার দেবু এই কাজ পেয়েছে। তারা কাজ শুরু করতে দেরি করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে অতি দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।
আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য তিন বছর আগে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু নানা জটিলতায় কাজ হয়নি। সড়কটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৪ কিলোমিটারের বেশি। বর্তমানে এ সড়কের ২০০ মিটারের টেন্ডার হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে দুইশ মিটারের কাজ শুরু হবে।