আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড-
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরীবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় সমিতির ডাকে সাড়া দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-৩ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। রবিবার থেকে শুরু হয়ে এই কর্মবিরতি দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানান কর্মকর্তারা। রবিবার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবী দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবী না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের ২ জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে রবিবার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সকল ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে ( ৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।