জসিম উদ্দিনঃ বর্তমানে রাজধানীতে বহুল আলোচিত বিপদগামী কিশোর গ্যাং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, নারীদের ইভটিজিংসহ মাদক সেবন ও ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ছে। এ ধরনের বিপথগামী কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৪ সদা সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা হতে ‘‘সোলাইমান বাবু গ্রুপ”এর লিডার মোঃ সোলাইমান বাবু’সহ নিম্নোক্ত ৩ জন সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মোঃ সোলায়মান হোসেন বাবু (৩০)
মোঃ আলী আল-আমিন (৩৪)মোঃ জাকির হোসেন ব্লাক জাকির (২৮)।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে তন্মধ্যে কিশোর গ্যাং ‘সোলাইমান বাবু গ্রুপ’এর লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাং এর সদস্যরা মিরপুর এর আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ভিকটিম ইদ্রিস আলী (৪০) এর সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূর্ব শত্রুতা ছিলো।
পূর্ব শত্রুতা এবং মোবাইল চুরির একটি ঘটনার জের ধরে গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ভোর রাতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমের বাসার দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ভিকটিম’কে উপর্যুপরী আঘাত করতে থাকে। ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ চাঁদনী (৩০) ভিকটিমকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে গ্রেফতারকৃতরা তাদের কাছে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দ্বারা ভিকটিমের স্ত্রীকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ভিকটিম ও তার স্ত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিম ও তার স্ত্রীকে বিভিন্নপ্রকার হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ভিকটিম ও তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও এরুপ কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।