জসিম উদ্দিনঃ ঢাকা মহানগরীর কলাবাগান থানাধীন কাঠালবাগান এলাকায় অদ্য ৮ এপ্রিল ২৪ ইং ২. ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করতঃ অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ১। নয়ন শেখ (২০), পিতা-মৃত মিজানুর রহমান শেখ, সাং-ধিরাইল, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ’কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, অপহৃত ভিকটিম কিশোরী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকার একটি স্থানীয় স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ০১/০১/২০২৪ তারিখ ০৯১০ ঘটিকায় ভিকটিম তার বাড়ি হতে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে কাশিয়ানী পলিটেকনিক স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পৌছালে গ্রেফতারকৃত নয়ন তার অপরাপর সহযোগী মাহাবুব ও আরিফুলসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের সহায়তায় ভিকটিমকে পথরোধ করে এবং জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ভিকটিম নিজ বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে ভিকটিমের সহপাঠীদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। তার সহপাঠীরা জানায় ভিকটিম ঐদিন স্কুলে যায়নি। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে খোজাখুজির জন্য বের হলে প্রত্যক্ষদর্শী একজন পথচারীর নিকট হতে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে তারা নিশ্চিত হয় যে, ভিকটিমকে গেফতারকৃত নয়ন অপহরণ করেছে।
পরদিন ভিকটিম সুযোগ বুঝে গ্রেফতারকৃত নয়নের মোবাইল ফোন দিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং জানায় যে তাকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় গ্রেফতারকৃত নয়ন এবং তার অপরাপর সহযোগী ও পলাতক আসামি মাহাবুব, আরিফুলসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন এর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে রাজধানীর কলবাগান এলাকায় অবস্থান সনাক্ত করে অদ্য ৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং ২ ঘটিকায় ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী নয়নকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।