ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরাফাত উল্লাহ’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩০৬৯ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃরাজধানীর মতিঝিল থানাধীন দিলকুশা এলাকায় গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং ৪. ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ আরাফাত উল্লাহ কাজী (৩০)কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আরাফাত এবং উক্ত মামলার ভিকটিম পরষ্পর চাচাতো ভাই-বোন। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হলে উভয় পরিবারের সদস্যরা সালিশি বসলে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমের গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। ভিকটিম সম্মান ও সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গ্রেফতারকৃত আরাফাতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আরাফাত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরাফাত উল্লাহ’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃরাজধানীর মতিঝিল থানাধীন দিলকুশা এলাকায় গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং ৪. ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ আরাফাত উল্লাহ কাজী (৩০)কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আরাফাত এবং উক্ত মামলার ভিকটিম পরষ্পর চাচাতো ভাই-বোন। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হলে উভয় পরিবারের সদস্যরা সালিশি বসলে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমের গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। ভিকটিম সম্মান ও সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গ্রেফতারকৃত আরাফাতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আরাফাত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।