ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

অবৈধ মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতাসহ ২০ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩০৯৮ বার পড়া হয়েছে

জসীম উদ্দিনঃ বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে।

একদল সংঘবদ্ধ অসাধু দূস্কৃতিকারী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই ও ছিনতাইকৃত বিভিন্ন আধুনিক মডেলের এনড্রয়েড মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। পরবর্তীতে এ সমস্ত মোবাইল ফোন বিভিন্ন অপরাধীরা ক্রয় করে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে।

র‍্যাব-৩ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে মোবাইল সিন্ডিকেট চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের বাণিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে যে এসময়টিতে মোবাইল ছিনতাইয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়। ছিনতাই হওয়া এসকল মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সম্মুখে অস্থায়ীভাবে দোকান স্থাপন করে বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও চক্রটি ঢাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাই হওয়া এসকল মোবাইল ফোন সুকৌশলে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশেও ক্রয়-বিক্রয় করতো। এসকল মোবাইল চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব-৩ এর ৪টি অভিযানিক দল রাজধানীর গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খিলগাঁও এলাকার সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা হাফিজুর রহমান (৩৫) ও তার সহযোগি রনি আহমেদ ইমন (২৯), মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫)মোঃ জামাল উদ্দিন (৫০)চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা আবুল মাতুব্বর (৪২)
সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মূলত ৪টি চক্রে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এসকল মোবাইল চোরাকারবারির সাথে জড়িত রয়েছে। তারা মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তনের কারিগর।

চক্রটি চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান, রবিন ভূইয়া ও হাফিজুর রহমান মোবাইল ছিনতাই করে পরবর্তীতে চক্রের মূলহোতা রাজু, সুজন ও আবুল মাতুব্বরসহ অন্যান্যদের নিকট স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও তারা অন্যান্য ছিনতাইকারির নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করে।

গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারের নেতৃত্বাধীন চক্রটি গুলিস্তান এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ২৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ১৭৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরিফুলের নেতৃত্বাধীন চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ১০৬টি স্মার্ট ফোন এবং ৫৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল মাতুব্বর নেতৃত্বাধীন চক্রটি মোহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয়।

এ চক্রের নিকট হতে ৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ২৪টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি খিলগাঁও এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ৫৪টি স্মার্ট ফোন এবং ৭৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

অবৈধ মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতাসহ ২০ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

জসীম উদ্দিনঃ বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে।

একদল সংঘবদ্ধ অসাধু দূস্কৃতিকারী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই ও ছিনতাইকৃত বিভিন্ন আধুনিক মডেলের এনড্রয়েড মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। পরবর্তীতে এ সমস্ত মোবাইল ফোন বিভিন্ন অপরাধীরা ক্রয় করে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে।

র‍্যাব-৩ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে মোবাইল সিন্ডিকেট চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের বাণিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে যে এসময়টিতে মোবাইল ছিনতাইয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়। ছিনতাই হওয়া এসকল মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সম্মুখে অস্থায়ীভাবে দোকান স্থাপন করে বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও চক্রটি ঢাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাই হওয়া এসকল মোবাইল ফোন সুকৌশলে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশেও ক্রয়-বিক্রয় করতো। এসকল মোবাইল চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব-৩ এর ৪টি অভিযানিক দল রাজধানীর গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খিলগাঁও এলাকার সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা হাফিজুর রহমান (৩৫) ও তার সহযোগি রনি আহমেদ ইমন (২৯), মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫)মোঃ জামাল উদ্দিন (৫০)চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা আবুল মাতুব্বর (৪২)
সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মূলত ৪টি চক্রে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এসকল মোবাইল চোরাকারবারির সাথে জড়িত রয়েছে। তারা মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তনের কারিগর।

চক্রটি চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান, রবিন ভূইয়া ও হাফিজুর রহমান মোবাইল ছিনতাই করে পরবর্তীতে চক্রের মূলহোতা রাজু, সুজন ও আবুল মাতুব্বরসহ অন্যান্যদের নিকট স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও তারা অন্যান্য ছিনতাইকারির নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করে।

গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারের নেতৃত্বাধীন চক্রটি গুলিস্তান এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ২৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ১৭৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরিফুলের নেতৃত্বাধীন চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ১০৬টি স্মার্ট ফোন এবং ৫৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল মাতুব্বর নেতৃত্বাধীন চক্রটি মোহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয়।

এ চক্রের নিকট হতে ৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ২৪টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি খিলগাঁও এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের নিকট হতে ৫৪টি স্মার্ট ফোন এবং ৭৯টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।