পবিত্র মাহে রমজান মাহে রমজানের তীব্র যানজট নিরসনে হকার মুক্ত করতে ডিএমপি কমিশনার কঠোর নির্দেশনা পর থেকে ডিএপির প্রতিটি থানা এলাকায় হকার মুক্ত করতে রাস্তায় রয়েছেন স্থানীয় থানা পুলিশ।
তারাই ধারাবাহিকতায় বাড্ডা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় হকারদের উচ্ছেদ করার পর তাদের পুনর্বাসন করতে স্থানীয় এমপি থেকে শুরু করে কাউন্সিলদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন হকার’রা তবু ও কোনো সুরাহা না পেয়ে আজ ৫০ জনের ও বেশী হকার রাত ১২ টা পযন্ত বাড্ডা থানার সামনে দীর্ঘসময় অবস্থা করে ছিলেন ।
কয়েকজন হকারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমরা রাস্তায় হকারি করি বলে আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখার বুজি কেউ নেই? আমরা তো কারো ভাই কারো বন্ধু,আমরা তো চুরি ও ছিনতাই করি না ? পেটের দায়ে রাস্তায় ফুটপাতে দোকান করে কিছু অর্থ উপার্জন করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি ।আজ আমাদের ব্যবসা একবারে বন্ধ করে দিলে আমরা কই যাবো।দোকান করতে না পারলে তো আমরা পরিবারে দুবেলা দুমুঠো ভাত কিভাবে জোগাড় করবো।
হকারদের মধ্যে অনেকে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ লক্ষ রোহিঙ্গা’কে বিনামূল্যে থাকতে দিছে খাইতে দিছে,তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, আজ আমরা এদেশের নাগরিক হয়ে হকারি করতে পারবো না এটা তো মেনে নেওয়া যায় না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন হকারদের পূর্নবাসন করবেন এখন পযন্ত করলেন না,তাহলে আমরা এখন যাবো কোথায় তাহলে কি আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নেমে যেতে হবে ।আমাদের সাথে এমন অন্যায় কেনো হচ্ছে।কান্নাকাটি করলেও আসলে হকারদের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ কেউ নেননি।
হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এর কাছে জানতে চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “হকারদের নিয়ে আপনারা আর রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। হকারদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলকে আমরা দুই তিন দিন সময় দিচ্ছি, এই সময়ের মধ্যে হকারদের বসতে দেওয়া না হলে সাদা কাপড় গায়ে পরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হকারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করবে।”
উচ্ছেদ হওয়া হকারদের ‘যথাযথভাবে পুনর্বাসন’ করারও দাবি জানান হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমত আলী বলেন, “পৃথিবীতে আন্দোলন ছাড়া কোনো কিছু আদায় হয় না। আমাদেরকেও হকারদের পূনর্বাসনের জন্য আন্দোলন জোরদার করতে হবে। আর হকারদের যদি নির্যাতন করা হয়, তাহলে আন্দোলন তীব্র হবে।
সিটি করপোরেশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা ঘর ভাড়া দিতে পারি না। রোহিঙ্গারাও আমাদের চেয়ে ভাল আছে। হকারদের নরম পেয়েছেন, যে উচ্ছেদ করেন? পারলে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করুন।আমাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করে পুনর্বাসন করুন।
হকার্স ইউনিয়ন কোতোয়ালি শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, “আমরা তিনবার এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করেছি।স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পুলিশের ডিসিসহ সকলের কাছে গিয়েছি। সবাই কেবল আশ্বাস দিয়েছে, আমাদের ব্যবসা করার ব্যবস্থা কেউ করল না।
হকারদের নিয়ে নানা বাহনা করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা রুটি-রুজির তাগিদে হকারি করি। আমরা চাই না আমাদের সন্তানরা হকার হোক।
“যারা লুটপাট করে দেশকে খাইতেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয় না। মামলা দেওয়া হচ্ছে হকার-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক হকার্স ইউনিয়ন বাড্ডার এক সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হকারদের আপনারা আজ তুচ্ছ তাচ্ছিল করেছেন এই হকারের চাঁদার টাকা সয়ং যুক্তরাষ্ট্রে (আমেরিকায়) যায় বাড্ডার একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।যারা বাড্ডার বিভিন্ন স্থান থেকে নামে বেনামে রশিদ দিয়ে চাঁদা তুলে।সুধু তাই নয় সিটি কর্পোরেশনের বর্জ-আবর্জনা অপসারনের টাকার ভাগ বাটোয়ারা হয়ে ৪০% টাকা যায় আমেরিকায়। তিনি আরো বলেন,হকার এর চাঁদার টাকা স্থানীয় নেতাকর্মী পুলিশ প্রশাসনসহ অনেকের পকেটে যায়।এমন তথ্যের সত্যতা
পায় গোয়েন্দা সংস্থা ।
মধ্যপ্রাচ্যে সহ বিশ্বের সকল দেশের হকার আছে।
হকার মুক্ত দেশ খুঁজে পাওয়া মুশকিল সিঙ্গাপুর,মালেশিয়া,ব্যাংকক থাইল্যান্ডসহ সব কয়টি দেশের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে সেখানে দেখবেন তারা নিদিষ্ট একটা সময় দোকান করার জন্য তাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্দেশ দেওয়া থাকে।যেমন তাদের মার্কেট গুলো নিদিষ্ট সময় পর বন্ধ হয়ে।মার্কেট বন্ধ হওয়ার পর ২/৩ ঘন্টা মার্কেটের সামনে হকারি করতে পারে ।এতে করে হকার ও বাঁচলো যানজট ও তেমন একটা হয়না।এমন পদক্ষেপ ও আমাদের সরকার নিতে পারে বলে জানায় বাজার বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে হকারদের নেতা আকতার হোসেন বলেন, “২১ অগাস্ট প্রথমে আপনাকে রক্ষা করেছিল এই হকররা। তারাই আপনার সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণপন চেষ্টা করে আপনাকে রক্ষা করেছে। আপনি আমাদের পুনর্বাসনসহ ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করুন।
এই বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসীন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পবিত্র মাহে রমজান, রমজান মাসে সারা রাজধানী জুঁড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যাতে করে রাস্তাঘাট ফুটপাতে পথচারীদের হাটতে চলতে খুব কষ্ট হয়।যানজট নিরসনে আমাদের মাননীয় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন পথচারীর হাঁটার রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি করে ফুটপাত দেওয়া যাবেনা।তাঁহার নির্দেশনা মতে আমরা মেইন রাস্তা হকার মুক্ত করেছি। একান্ত যদি হকারি করতে হয় পাড়া মহল্লায় গিয়ে হকারি করুক আমাদের কোনো সমস্যা নাই বলে তিনি জানান।