ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হল বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিভাগ।বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর তালিকার এক নাম্বারে ঢাকা। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজানে ঝানজট নিরসনে হকার মুক্ত নগরী গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার(ডিসি) মো. হায়াতুল ইসলাম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের থানা গুলোতে পবিত্র রমজান মাসে জননিরাপত্তা জোরদার ও সেবার মানউন্নয়নে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. হায়াতুল ইসলাম খান।
জনবহুল এলাকায় সাতটি থানা নিয়ে গঠিত ডিএমপি মতিঝিল বিভাগ।মতিঝিল থানা,সবুজবাগ থানা,খিলগাঁও থানা, পল্টন মডেল থানা,রামপুরা থানা, মুগদা থানা ও শাজাহানপুর থানা।
রাজধানীর এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে ফুটপাতের উপর দোকানের পসরা নেই। সিটি করপোরেশন বার বার চেষ্টা করার পরেও পুরোপুরি দখলমুক্ত রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
এবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর কড়া নির্দেশনা ফুটপাত ছাড়তে হবে। তবে যেহেতু হকারদের বাৎসরিক আয়ের বড় একটি অংশ আসে এই রমজান মাসে, তাই হকারদের সুবিধার্থে রমজান মাসে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্পটে চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তারাই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.হায়াতুল ইসলাম খান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান এর প্রথম দিন থেকে অদ্যবধী মতিঝিল বিভাগের প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)দের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পবিত্র রমজান মাসে থানা এলাকার জনগনের হাঁটার রাস্তায় কোনো রকম হকার থাকতে পারবেনা হকারমু্ক্ত নগরী গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ডিসি মো.হায়াতুল ইসলাম খান।
এ বিষয়ে ডিসি মো.হায়াতুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রমজানকে বলা হয় সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। অথচ এ মাসেই বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।বেশ কয়েকটি পন্যের চাহিদা রমজানে বেড়ে যায়। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই এসব পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ খুঁজতে পারে। এটি দুর্ভাগ্যজনক।তাই রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল,হকারদের উত্পাত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিসহ সকল অপরাধ দমনে আমাদের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যহত থাকবে ।
ব্যবসায় মুনাফা অর্জন একটি স্বাভাবিক বিষয়।কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে নৈতিকতাহীন কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়। ব্যবসায়ীরা সৎ ও আন্তরিক হলে বছরের অন্যান্য মাস তো বটেই, রমজান মাসেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় থাকতে পারে। রমজান সামনে রেখে বাজার তদারকির যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তা ফলপ্রসূ হবে এটাই আমি প্রত্যাশা করি। এবার যেন তেমনটি না হয়, সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর পাশা-পাশি আমার মতিঝিল বিভাগের সকল থানার অফিসার ইনাচার্জ(ওসি)কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এসকল অপরাধে আরও বেশি তৎপর হওয়ার জন্য।এ ব্যাপারে সতকর্তা ও কঠোরতার বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।
তিনি তার সততা ও বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত গুরুত্বপূন্য মতিঝিল বিভাগের সকল থানার আওতাধীন এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মামলা হ্রাস, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখলবাজ,চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব,রিক্সা চালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা।
হায়াতুল ইসলাম খান ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর গ্রামের একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান।বাবা একজন সাবেক ব্যাংকার।ছোটবেলা থেকেই দেশ ও মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে।এখন আমার সময়, শক্তি আছে। একদিন হয়তো আমি থাকব না, যদি মানুষের জন্য কিছু ভালো কাজ করে যেতে পারি সেটাই আমার বড় পাওয়া। কাজের জন্য হলেও মানুষ আমাকে দোয়া করবে।
তিনি আরও বলেন, চাকরি থেকে অবসরে গেলে পরিবার নিয়ে আমার গ্রামের মানুষের সাথে বসবাস করব। সত্যি কথা বলতে কাজের কারণে আমার পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারি না। আমার দুটো সন্তান। বাবা হিসেবে তাদের সৎ ও দেশপ্রেমী হিসাবে গড়ে তুলব এবং বাকি জীবনেও আমার লক্ষ্য দেশের সেবা করা।
হায়াতুল ইসলাম খান সরকারি চাকরিতে ২০০০ সালে যোগ দান করেন। প্রথমে বন বিভাগে কর্মকর্তা ও ২০০৫ সনে যোগ দেন পুলিশ বাহিনীতে। তিনি যেখানেই কাজ করেছেন এবং হয়েছেন সফল। তার সহকর্মীরাও খুব ভালোবাসেন তাকে। আমাদের সমাজ প্রগতিশীলভাবে পরিবর্তন করতে হলে এমন সৎ, দেশপ্রেমী ও মেধাবী পুলিশ অফিসার থাকা দেশের জন্য জরুরি।
মো.হায়াতুল ইসলাম খান মতিঝিল বিভাগের ডিসি হওয়ার আগে তিনি পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। পিরোজপুরে জেলায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছ্ন তিনি।সর্বপরি তিনি বলেন’ফুটপাতের পাশাপাশি রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সর্বস্তরের জনগন যদি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে ফুটপাত পরিস্কার রাখে তবে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আসলে প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজের আইন মেনে চলা এবং অন্যকে আইন-মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।