ক্রাইম রিপোর্টঃ সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুগসাইর গ্রামের মৃত মালেকের ছেলে দুলাল বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও একাধিক মামলায় আসামী হয়ে নির্বাচনের পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিভিন্ন কৌশলে তার আত্মীয় আলিম এর মাধ্যমে কুমিল্লা ৩ মুরাদনগর মাননীয় এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার (এমপির) কাছে নিয়ে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। যাহা স্থানীয় আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভিতরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ।
স্থানীয় বেশকয়েকজন আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় দুলাল ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং তার আপন ছোট ভাই জামাল ধামঘর ইউনিয়নের যুবদলের সেক্রেটারি তার পুরো পরিবার বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ।বিএনপির থাকাকালীন সময়ে দুলালের অত্যাচারে এলাকায় আওয়ামীলীগসহ সাধারন মানুষ ও ঠিক মতো ঘরে ঘুমাতে পারতো না প্রতিনিয়ত তাদের ভয়ভীতি দেখাত দুলাল।
আজ সেই দুলাল আওয়ামীলীগ এক নেতার সাথে উঠতে বসতে দেখা যায়,যা সত্যি দুঃখজনক বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
এই বিষয় এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দুলাল তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি দিন রাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে এই সময় মানুষের ভিড়ে আমার সাথে এসে ছবি উঠান দুলাল। সে যে বিএনপির কর্মী সেটা আমার জানা ছিলো না দুলাল পরভর্তিতে দুলাল কে যে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি যে অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের বিএনপির লোকজন কখনও আমার কাছে নিয়ে আসবে না বলে ও তিনি তাকে হুঁশিয়ারি দেন।
অভিযোগ আছে বায়িং হাউজের ব্যবসার কথা বলে তার আড়ালে দুলাল অবৈধ উপায়ে হুন্ডি ব্যবসা করে ।হুন্ডির মাধ্যমে ভিন্ন দেশে কোটি কোটি টা অবৈধ উপায়ে পাঠান দুলাল ।যাতে করে সরকার তার ধারা কোটি কোটি টাকার রেমিটেন্স হারাচ্ছেন।
সুধু তাই নয় এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসার কথা বললেও তার আড়ালে বিদেশীদের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা আদান প্রদান মূল মাধ্যম হলো হুন্ডি ব্যবসায় ।
বিএনপি’র থানা কমিটির সেক্রেটারি তার নামে তার লোকাল এলাকা মুরাদনগর থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে । সুধু তাই নয় এই দুলালের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধীক অভিযোগ ও রয়েছে।যার জন্য কয়েকদিন পরপর অফিস চেন্জ করে সে।
মুরাদনগর থানায় ধানগড় ইউনিয়নে নবীন এবং প্রবীণ আওয়ামীলীগ লোকদেরকে তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য এবং তার হুন্ডি ব্যবসা বৈধ করার জন্য এবং ক্ষমতা প্রভাব বিস্তার করার জন্য আওয়ামী লীগের এক নেতার মাধ্যমে মাননীয় এমপি জাহাঙ্গীর সরকার ছায়াতলে থাকার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন এতে করে মাননীয় এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সুকৌশলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে ও জানান অনেকে।
এই বিষয়ে দুলাল এর কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধীক বার ফোন করলে তার নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।