ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

হিন্দি সিনেমা আমাদের সিনেমার জন্য ‘বিষফোঁড়া’-ডিপজল

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩২০১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক:-  দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তির বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপমহাদেশিয় সিনেমা আমদানির নীতিমালার মধ্যে বিদেশি সিনেমার মুক্তির সময় নির্ধারণ করে দিলেও তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ডিপজল বলেন, উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির কথা বলা হলেও শুধু হিন্দি সিনেমা আমদানি করে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এটা তো নিয়মের লঙ্ঘন। আমি বরাবরই বলেছি, হিন্দি সিনেমা ছাড়াও ভারতের বাংলা সিনেমা রয়েছে, সেগুলো আমদানি করে মুক্তি দেয়া হোক। কারণ, বাংলা সিনেমা বাংলা ভাষার এবং আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিল রয়েছে। আমরা ভারতের বাংলা সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতা করব। এতে বিশ্বে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। হিন্দি সিনেমা দেশে মুক্তির মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যারা হিন্দি সিনেমার আমদানি ও মুক্তির পক্ষে এবং আমাদের সিনেমার মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে, তা কি হচ্ছে? হচ্ছে না। আমাদের নির্মাতারা আমাদেরই সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতি নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ নির্মাতারা অনেক আগে থেকেই ভাল ভাল সিনেমা নির্মাণ করছেন এবং সেগুলো সুপারহিট হচ্ছে। প্রযোজক ও হল মালিকরা আমাদের সিনেমা দিয়েই লাভবান হচ্ছে। আমার নিজের সিনেমা হল রয়েছে, আমি জানি কোন সিনেমা ব্যবসা করবে, কোনটি করবে না। হিন্দি সিনেমা বহু বছর আগেও মুক্তি দেয়া হয়েছিল, সেগুলো আমাদের দর্শক দেখেনি। আজকে বাংলাদেশে যে কয়টি সিনেমা হল টিকে আছে, সেগুলো আমাদের সিনেমার ব্যবসা দিয়েই টিকে আছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেগুলোর একটিও ব্যবসা করতে পারেনি। যারা হিন্দি সিনেমা দিয়ে হল টিকিয়ে রাখার কথা বলছেন, তারা এখন কি বলবেন? আমি তো জানি, হিন্দি সিনেমা মুক্তি দিয়ে তারা বসে থাকে। সিনেমা হল খা খা করে। এই যে কয়েক সপ্তাহ ধরে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেগুলো কতজন দর্শক দেখেছে? খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেগুলো দর্শক গ্রহণ করেনি। লাভ করা দূরে থাক, যে টাকায় আমদানি করা হয়েছে, সে টাকাও উঠেনি। তারপরও হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের সিনেমার মুক্তি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের নির্মাতারা মুক্তির তারিখ ঠিক করেও হিন্দি সিনেমার কারণে তা পিছিয়ে দিচ্ছে। দর্শক গ্রহণ না করলেও কিছু লোক জোর করে দর্শকদের হিন্দি সিনেমা দেখাতে চাচ্ছে। দর্শকও তার প্রতিবাদে সিনেমা হলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের সিনেমা মুক্তি পেলে সিনেমা হলে দর্শক যাচ্ছে। হিন্দি সিনেমার তুলনায় অনেক বেশি দর্শক আমাদের সিনেমা দেখছে। হিন্দি সিনেমার আমদানিকারকরা অনেক প্রচারণা চালিয়েও দর্শক হলে নিতে পারছে না। এ সপ্তাহে আমাদের যে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো ভাল ব্যবসা করছে। সিনেমা হল মালিকরা তা ভাল করে জানেন। অথচ ব্যবসা না করলেও একের পর এক হিন্দি সিনেমা এনে আমাদের সিনেমার মুক্তিতে ঝামেলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেন্সর বোর্ডও হিন্দি সিনেমা আমদানির সাথে সাথে ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে। অথচ আমাদের সিনেমার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিতে তারা নানা টালবাহানা করে। সহজে ছাড়পত্র দিতে চায় না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে হিন্দি সিনেমা আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে, সে সিনেমা এত সহজে ছাড়পত্র পায় কিভাবে? আমাদের সিনেমা অগ্রাধিকার পাচ্ছে না কেন? যদি তারা মনে করে, আমাদের দেশের সিনেমা দরকার নেই, তাহলে বন্ধ করে দিলেই তো পারে! ঘোষণা দিয়ে বলুক, আমাদের দেশে সিনেমা নির্মাণ করা যাবে না। ডিপজল বলেন, যে সময়ে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ঠিক সে সময়ে হিন্দি সিনেমা আমদানি করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যে আমরা সিনেমা নির্মাণ করছি। তা দেখা, না দেখা দর্শকের অধিকার। দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যে কয়টি হিন্দি সিনেমা ও আমাদের দেশের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার তুলনায় দর্শক আমাদের সিনেমাই বেশি দেখেছে। প্রযোজকরা লাভবান হয়েছে। লোকসান দিলেও নিজস্ব সিনেমাকে ভালবেসে আবার সিনেমা নির্মাণ করছে। তাদের এই চেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়া হচ্ছে। দুঃখের বিষয়, এ ব্যাপারে আমাদের চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো নিশ্চুপ রয়েছে। তারা কোনো কথা বলছে না। এ কথা না বলার অর্থ হচ্ছে, তারা হিন্দি সিনেমার পক্ষে, আমাদের সিনেমার বিপক্ষে। এ সপ্তাহে আমাদের শিল্পী সমিতির সাইমন সাদিকের ‘বাজি’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। সে হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিরোধিতা করে কথা বললেও সমিতি কোনো কথা বলেনি। এ প্রতিবাদে সে পদত্যাগ করেছে। আমি মনে করি, যার যার অবস্থান থেকে এ প্রতিবাদ করা উচিৎ। আমি সাইমনকে সাধুবাদ জানাই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তার সিনেমাটি ভাল চলছে। ডিপজল বলেন, হিন্দি সিনেমা আমাদের সিনেমার জন্য এখন ‘বিষফোঁড়া’ হয়ে উঠেছে। দর্শক হিন্দি সিনেমা না দেখলেও এর আমদানিকারকরা আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সিনেমার মধ্যে বিষ ঢেলে দিচ্ছে। এটা মানা যায় না। আমাদের নির্মাতারা এখন অনেক ভাল ভাল গল্প নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনায় উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে সিনেমা বানাচ্ছে। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তি পাচ্ছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে। এ অবস্থায়, আমি সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, আমাদের সিনেমার এই উন্নতির মাঝে হিন্দি সিনেমা আমদানি যেন বন্ধ করা হয়। আশা করি, মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হিন্দি সিনেমা আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

হিন্দি সিনেমা আমাদের সিনেমার জন্য ‘বিষফোঁড়া’-ডিপজল

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

বিনোদন প্রতিবেদক:-  দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তির বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপমহাদেশিয় সিনেমা আমদানির নীতিমালার মধ্যে বিদেশি সিনেমার মুক্তির সময় নির্ধারণ করে দিলেও তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ডিপজল বলেন, উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির কথা বলা হলেও শুধু হিন্দি সিনেমা আমদানি করে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এটা তো নিয়মের লঙ্ঘন। আমি বরাবরই বলেছি, হিন্দি সিনেমা ছাড়াও ভারতের বাংলা সিনেমা রয়েছে, সেগুলো আমদানি করে মুক্তি দেয়া হোক। কারণ, বাংলা সিনেমা বাংলা ভাষার এবং আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিল রয়েছে। আমরা ভারতের বাংলা সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতা করব। এতে বিশ্বে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। হিন্দি সিনেমা দেশে মুক্তির মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যারা হিন্দি সিনেমার আমদানি ও মুক্তির পক্ষে এবং আমাদের সিনেমার মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে, তা কি হচ্ছে? হচ্ছে না। আমাদের নির্মাতারা আমাদেরই সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতি নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ নির্মাতারা অনেক আগে থেকেই ভাল ভাল সিনেমা নির্মাণ করছেন এবং সেগুলো সুপারহিট হচ্ছে। প্রযোজক ও হল মালিকরা আমাদের সিনেমা দিয়েই লাভবান হচ্ছে। আমার নিজের সিনেমা হল রয়েছে, আমি জানি কোন সিনেমা ব্যবসা করবে, কোনটি করবে না। হিন্দি সিনেমা বহু বছর আগেও মুক্তি দেয়া হয়েছিল, সেগুলো আমাদের দর্শক দেখেনি। আজকে বাংলাদেশে যে কয়টি সিনেমা হল টিকে আছে, সেগুলো আমাদের সিনেমার ব্যবসা দিয়েই টিকে আছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেগুলোর একটিও ব্যবসা করতে পারেনি। যারা হিন্দি সিনেমা দিয়ে হল টিকিয়ে রাখার কথা বলছেন, তারা এখন কি বলবেন? আমি তো জানি, হিন্দি সিনেমা মুক্তি দিয়ে তারা বসে থাকে। সিনেমা হল খা খা করে। এই যে কয়েক সপ্তাহ ধরে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেগুলো কতজন দর্শক দেখেছে? খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেগুলো দর্শক গ্রহণ করেনি। লাভ করা দূরে থাক, যে টাকায় আমদানি করা হয়েছে, সে টাকাও উঠেনি। তারপরও হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের সিনেমার মুক্তি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের নির্মাতারা মুক্তির তারিখ ঠিক করেও হিন্দি সিনেমার কারণে তা পিছিয়ে দিচ্ছে। দর্শক গ্রহণ না করলেও কিছু লোক জোর করে দর্শকদের হিন্দি সিনেমা দেখাতে চাচ্ছে। দর্শকও তার প্রতিবাদে সিনেমা হলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের সিনেমা মুক্তি পেলে সিনেমা হলে দর্শক যাচ্ছে। হিন্দি সিনেমার তুলনায় অনেক বেশি দর্শক আমাদের সিনেমা দেখছে। হিন্দি সিনেমার আমদানিকারকরা অনেক প্রচারণা চালিয়েও দর্শক হলে নিতে পারছে না। এ সপ্তাহে আমাদের যে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো ভাল ব্যবসা করছে। সিনেমা হল মালিকরা তা ভাল করে জানেন। অথচ ব্যবসা না করলেও একের পর এক হিন্দি সিনেমা এনে আমাদের সিনেমার মুক্তিতে ঝামেলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেন্সর বোর্ডও হিন্দি সিনেমা আমদানির সাথে সাথে ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে। অথচ আমাদের সিনেমার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিতে তারা নানা টালবাহানা করে। সহজে ছাড়পত্র দিতে চায় না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে হিন্দি সিনেমা আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে, সে সিনেমা এত সহজে ছাড়পত্র পায় কিভাবে? আমাদের সিনেমা অগ্রাধিকার পাচ্ছে না কেন? যদি তারা মনে করে, আমাদের দেশের সিনেমা দরকার নেই, তাহলে বন্ধ করে দিলেই তো পারে! ঘোষণা দিয়ে বলুক, আমাদের দেশে সিনেমা নির্মাণ করা যাবে না। ডিপজল বলেন, যে সময়ে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ঠিক সে সময়ে হিন্দি সিনেমা আমদানি করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যে আমরা সিনেমা নির্মাণ করছি। তা দেখা, না দেখা দর্শকের অধিকার। দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যে কয়টি হিন্দি সিনেমা ও আমাদের দেশের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার তুলনায় দর্শক আমাদের সিনেমাই বেশি দেখেছে। প্রযোজকরা লাভবান হয়েছে। লোকসান দিলেও নিজস্ব সিনেমাকে ভালবেসে আবার সিনেমা নির্মাণ করছে। তাদের এই চেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়া হচ্ছে। দুঃখের বিষয়, এ ব্যাপারে আমাদের চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো নিশ্চুপ রয়েছে। তারা কোনো কথা বলছে না। এ কথা না বলার অর্থ হচ্ছে, তারা হিন্দি সিনেমার পক্ষে, আমাদের সিনেমার বিপক্ষে। এ সপ্তাহে আমাদের শিল্পী সমিতির সাইমন সাদিকের ‘বাজি’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। সে হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিরোধিতা করে কথা বললেও সমিতি কোনো কথা বলেনি। এ প্রতিবাদে সে পদত্যাগ করেছে। আমি মনে করি, যার যার অবস্থান থেকে এ প্রতিবাদ করা উচিৎ। আমি সাইমনকে সাধুবাদ জানাই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তার সিনেমাটি ভাল চলছে। ডিপজল বলেন, হিন্দি সিনেমা আমাদের সিনেমার জন্য এখন ‘বিষফোঁড়া’ হয়ে উঠেছে। দর্শক হিন্দি সিনেমা না দেখলেও এর আমদানিকারকরা আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সিনেমার মধ্যে বিষ ঢেলে দিচ্ছে। এটা মানা যায় না। আমাদের নির্মাতারা এখন অনেক ভাল ভাল গল্প নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনায় উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে সিনেমা বানাচ্ছে। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তি পাচ্ছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে। এ অবস্থায়, আমি সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, আমাদের সিনেমার এই উন্নতির মাঝে হিন্দি সিনেমা আমদানি যেন বন্ধ করা হয়। আশা করি, মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হিন্দি সিনেমা আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।