ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

দাগনভূঞায় মায়ের মামলায় মেয়ে ও প্রেমিক কারাগারে

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

 

দাগনভূঞা প্রতিনিধি :দাগনভূঞায় মায়ের মামলায় ফারহানা আক্তার সুখি ও মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ নামে দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দাগনভূঞা থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকরে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান।

মামলাসূত্রে জানাযায়, ফারহানা আক্তার সুখির স্বামী একরামুল হক দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন সময় মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্পর্কের সুবাদে প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকার ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১২ই ডিসেম্বর ফেনীর আদালতে ফারহানা আক্তার সুখির মা ফেরদৌস আরা বাদী হয়ে সুখি ও তার প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ সহ ৪জনকে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ফারহানা আক্তার সুখি প্রবাসী একরামুল হকের স্ত্রী ও মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ মোমারিজপুর গ্রামের মনির আহাম্মদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান হোসেন।

আইনজীবী কামরুজ্জামান হোসেন বলেন, মা ফেরদৌস আরা বেগম গত ১২ই ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সুখী ও তার প্রেমীকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলার আবেদন করেন।

আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তদন্তের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

ফারহানা আক্তার সুখির স্বামী একরামুল হক বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রাবসে থাকাকালীন আমার সঞ্চিত সমস্ত টাকা ও স্বার্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি তার বিচার দাবি করছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. মহসিন মেয়ের বিরুদ্ধে মায়ের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা তদন্তাধীন আছে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম বলেন, মায়ের মামলায় মেয়ে ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

দাগনভূঞায় মায়ের মামলায় মেয়ে ও প্রেমিক কারাগারে

আপডেট সময় : ০৪:১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

 

দাগনভূঞা প্রতিনিধি :দাগনভূঞায় মায়ের মামলায় ফারহানা আক্তার সুখি ও মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ নামে দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দাগনভূঞা থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকরে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান।

মামলাসূত্রে জানাযায়, ফারহানা আক্তার সুখির স্বামী একরামুল হক দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন সময় মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্পর্কের সুবাদে প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকার ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১২ই ডিসেম্বর ফেনীর আদালতে ফারহানা আক্তার সুখির মা ফেরদৌস আরা বাদী হয়ে সুখি ও তার প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ সহ ৪জনকে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ফারহানা আক্তার সুখি প্রবাসী একরামুল হকের স্ত্রী ও মো. ইব্রাহিম খলিল জাবেদ মোমারিজপুর গ্রামের মনির আহাম্মদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান হোসেন।

আইনজীবী কামরুজ্জামান হোসেন বলেন, মা ফেরদৌস আরা বেগম গত ১২ই ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সুখী ও তার প্রেমীকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলার আবেদন করেন।

আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তদন্তের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

ফারহানা আক্তার সুখির স্বামী একরামুল হক বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রাবসে থাকাকালীন আমার সঞ্চিত সমস্ত টাকা ও স্বার্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি তার বিচার দাবি করছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. মহসিন মেয়ের বিরুদ্ধে মায়ের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা তদন্তাধীন আছে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম বলেন, মায়ের মামলায় মেয়ে ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে।