খান মেহেদী :- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিকল্প নেই। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তাদের মতাদর্শ থেকে টলাতে পারেনি, নৌকার ভোটারদেরকে টলাতে পারেনি।
২৮শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার বার্তার বার্তা সম্পাদক খান মেহেদীর সাথে আলাপ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। আমাদের নেত্রী, জননেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করেন। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দেশের মানুষ আছে। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সরকারি চাকরীজীবী ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে গৃহহীনদের ঘড় দেয় না। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবনমানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পেছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিল? সামাজিক নিরাপত্তার অবস্থা কি ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা করে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এখন আপনাদের জন্য উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ। একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হাড়িয়ে ফেলে। নৌকার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা।
তিনি আরো বলেন বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারও তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারেকের নির্দেশে রমনার বটমূলে, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছিল। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল তারেক জিয়া। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই বিএনপি-জামায়াত আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামে তাহলে বিএনপি-জামায়াত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।