ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার, বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় পুলিশের নতুন গায়েবী মামলা দায়ের এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ঘরে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্বিচার গণগ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতি দিয়েছেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রথম সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন, চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, ড্যাব কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী নির্বাচন একতরফাভাবে করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছে আওয়ামী সরকার। এই লক্ষ্যে তারা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করতেই সরকার বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করে যাচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপি’র নেতৃত্বে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই সরকার গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমন করার পায়তারা করছে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোন কৌশলই সফল হবে না। এসব করে বিএনপির নেতৃত্বকে দুর্বল করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।
নেতৃবৃন্দ ঢাকার সমাবেশ ও অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং বাসভবনে তল্লাশির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এসব অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানান।
পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জাতীয় ও চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।