ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন রাজধানীর রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকখালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ। পরে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয় রামপুরা থানা পুলিশ।বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন।
রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর বনশ্রী সি ব্লকের ৩নং রোডের ২৬ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রএসব তথ্য জানিয়েছে।
রামপুরা বনশ্রীর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান রাত সোয়া ১২টার দিকে সাংবাদিক কে বলেন, ঢাকা মহানগরপুলিশের একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার আমাকে ফোন করে সংবাদটি দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আমরা ঝুলন্তঅবস্থায় পাই। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেই। তিনি চিকিৎসাধীনআছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর তাকে রামপুরা থানার সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেনতৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ। কমিটি গঠনেরপর তার বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের আগস্টে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালের পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতিঅভিযোগ করেন, চলতি বছরের ১৩ মার্চ তাকে বিয়ে করেন খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ। এর দেড় মাস পর তার গর্ভে সন্তান আসে।দলীয় পদ ধরে রাখতে পেটে আঘাত করে তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করেন ফরিদ। এ ঘটনায় ফরিদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায়নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। পুলিশ ফরিদকে আটকও করে। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
এসআই মিজানুর রহমান আরো জানায়, পারিবারিক ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহননের পথ বেছেনিতে পারেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন, ‘আত্মহত্যা কি আমার সব সমস্যার সমাধান?’ দুইদিন আগে তিনি ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ পরিস্থিতির চাপে ভুলকরে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে। কিন্তু তারাই উত্তম যারা ভুল স্বীকার করে, কিংবা ভুল থেকে আলোর পথে ফিরে আসতে চেষ্টা করে।’ আত্মহত্যার চেষ্টার আগে তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস ছিল, ‘আমি আর ফিরব না তোমাদের ওই অভিনয়ের শহরে। চলে যাচ্ছিঅনেক দূরে।