ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

বাকেরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই! ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বেড়েই চলছে!

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩২৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ :- বরিশাল জেলার বৃহত্তম উপজেলা বাকেরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। দিন যতই যাচ্ছে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ততোই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তুু ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই কারো। এই উপজেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সতর্কতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না ডেঙ্গু প্রতিরোধে। উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে নানা জটিলতা। সারা দেশের মতো বাকেরগঞ্জে এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়েছে। বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ জ্বরের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায় সতর্কতাবশত চিকিৎসকরা রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষার চাপ বাড়লেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই মাস ধরে কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় ৫ শত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে পরীক্ষা করে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় রোগীরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন। আর সেই সুযোগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের পরীক্ষা করিয়ে অধিক টাকা নিচ্ছেন তারা।

উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন,পৌর কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রথম শ্রেণীর পৌর শহরসহ গ্রাম সবখানেই ঝোপ আছে। এসব স্থান মশার প্রজননকেন্দ্র হিসেবে ধরা যায়।

পৌর এলাকার বাসিন্দারা পৌর কর্তৃপক্ষকে বছরের পর বছর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পায়নি। পৌর শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর। সব ড্রেন গুলোই ময়লার স্তুপে ভরে গিয়ে জলাবদ্ধতার দেখা দিয়েছে। অসচেতন পৌরবাসী নিত্যদিনের ব্যবহারের পরিত্যক্তম ময়লা আবর্জনা ওই ড্রেন গুলোতে ফেলেই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফালানোর স্থান এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। আবাসিক এলাকার সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলে পাহাড় সমান করে রেখেছে। আর এসব ময়লা আবর্জনা পচে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এখন এডিস মশার বংশবিস্তার করছে পৌর কর্তৃপক্ষের ময়লার ভাগাড় থেকেই। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিগত বছরগুলোতেও মশা নিধনে মাঠে নামেনি।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, খুব শীঘ্রই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হোক আর হেমোরেজিক হোক, এই সময় জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ নেওয়া উচিত। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই জ্বর হলেই সতর্ক থাকতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শংকর প্রশাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট না থাকার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

বাকেরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই! ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বেড়েই চলছে!

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ :- বরিশাল জেলার বৃহত্তম উপজেলা বাকেরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। দিন যতই যাচ্ছে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ততোই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তুু ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই কারো। এই উপজেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সতর্কতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না ডেঙ্গু প্রতিরোধে। উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে নানা জটিলতা। সারা দেশের মতো বাকেরগঞ্জে এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়েছে। বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ জ্বরের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায় সতর্কতাবশত চিকিৎসকরা রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষার চাপ বাড়লেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই মাস ধরে কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় ৫ শত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে পরীক্ষা করে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় রোগীরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন। আর সেই সুযোগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের পরীক্ষা করিয়ে অধিক টাকা নিচ্ছেন তারা।

উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন,পৌর কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রথম শ্রেণীর পৌর শহরসহ গ্রাম সবখানেই ঝোপ আছে। এসব স্থান মশার প্রজননকেন্দ্র হিসেবে ধরা যায়।

পৌর এলাকার বাসিন্দারা পৌর কর্তৃপক্ষকে বছরের পর বছর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পায়নি। পৌর শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর। সব ড্রেন গুলোই ময়লার স্তুপে ভরে গিয়ে জলাবদ্ধতার দেখা দিয়েছে। অসচেতন পৌরবাসী নিত্যদিনের ব্যবহারের পরিত্যক্তম ময়লা আবর্জনা ওই ড্রেন গুলোতে ফেলেই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফালানোর স্থান এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। আবাসিক এলাকার সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলে পাহাড় সমান করে রেখেছে। আর এসব ময়লা আবর্জনা পচে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এখন এডিস মশার বংশবিস্তার করছে পৌর কর্তৃপক্ষের ময়লার ভাগাড় থেকেই। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিগত বছরগুলোতেও মশা নিধনে মাঠে নামেনি।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, খুব শীঘ্রই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হোক আর হেমোরেজিক হোক, এই সময় জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ নেওয়া উচিত। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই জ্বর হলেই সতর্ক থাকতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শংকর প্রশাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট না থাকার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।