
সুলাইমান চৌধুরী ও আবু বকরের ঘটনার পর সাংবাদিকদের ওপর হুমকি
নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রদের কেলেঙ্কারি, সাংবাদিক লাঞ্চের অভিযোগ
দুই মাদ্রাসা ছাত্রের নামে সমকামীর ঘটনা, স্থানীয় প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জে জালকুড়ি আল মিকাত মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী মোঃ সুলাইমান চৌধুরী বিশাল (১৯) ও আবু বকর (১৮) সমকামীর অভিযোগের মুখে পড়েছেন।
মোঃ সুলাইমান চৌধুরী বিশালের পিতা আলমগীর চৌধুরী। তার বর্তমান ঠিকানা তক্কারমাঠ কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। স্থায়ী ঠিকানা মেন্দিপুর গ্রাম, মেন্দিপুর ইউনিয়ন, খালিয়াজুড়ি উপজেলা, নেত্রকোনা জেলা।
উভয় শিক্ষার্থী বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি আল মিকাত মাদ্রাসার নাহবেমীর জামাতের শিক্ষার্থী। পূর্বে তারা নারায়ণগঞ্জের একটি স্বনামধন্য কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসায় সমকামীর অভিযোগ ধরা পড়লে তারা নিজেদের খালাতো ভাই দাবি করে লজ্জায় মাদ্রাসা ছেড়ে আল মিকাত মাদ্রাসায় ভর্তি হন।
একজন পূর্বের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানান,
“সুলাইমান বরাবরই জুনিয়র ছাত্রদের টার্গেট করে এই অশ্লীলতা চালিয়ে থাকেন। এর আগেও তার চেয়ে ৫–৬ বছরের ছোট এক ছাত্রের সাথেও এমন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।”
আবু বকরের ভাষ্যমতে, তাদের আগের মাদ্রাসায় ঝামেলা হয়েছিল এবং সেই বছরই তারা আল মিকাত মাদ্রাসায় চলে আসে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তাদের পূর্বের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জালকুড়ি আল মিকাত মাদ্রাসায় সত্যতা যাচাই ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য গত ৬ অক্টোবর (সোমবার) গেলে, অভিযুক্ত আবু বকরের ভাষ্যে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং তিনি অন্য ইস্যু টেনে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন।
জালকুড়ি আল মিকাত মাদ্রাসার নাহবেমীর জামাতের শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ জুনায়েদ বলেন,
“আমি চাইছিলাম দুই পরিবারের অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি জানাতে। কিন্তু আবু বকরের অসদাচরণ সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটনা অন্য দিকে নিয়ে গেছে।”
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মতে, দুই ব্যক্তির সম্মতিতেও সমকামিতা ৩৭৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।