নিজস্ব প্রতিবেদকঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপোষহীন ভাবে বিভিন্ন অপরাধ দমনে ও রাজধানী জুড়ে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, মাদক ব্যবসায়ী, এজাহারনামীয় আসামী, মলম/অজ্ঞান পার্টি, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পবিত্র ঈদু-উল-আযহা’কে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও কিশোর গ্যাং চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। ঈদু-উল-আযহা উপলক্ষ্যে পশু হাটে কোরবাণীর পশু ক্রয় করার জন্য নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র নিরীহ পথচারীদের সর্বস্ব ছিনতাই করছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রাঘাত করে, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ী, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই করে জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। এ প্রেক্ষিতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই এর সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬. হতে ৮:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১ এর ০৬ টি আভিযানিক দল গুলশান, বনানী, বাড্ড, ভাটারা, আবদুল্লাহপুর এবং উত্তরা এলাকা হতে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ (২৪)মোঃ রুবেল (২৬)মোঃ শাওন (২৬)মোঃ সুমন (২৬)নয়ন ফরায়েজী (৩২)মোঃ বারেক মিয়া ইব্রাহিম (২৮)মোঃ সায়েম চঞ্চল (৪৫)মোঃ সোহেল হোসেন রুবেল (৩১)মোঃ জুবায়ের আহম্মেদ জুয়েল (২৫)মোঃ রবি হোসেন (৩২)রাজিব চন্দ্র দাস (১৯)সহ মোট ২১ জন ছিনতাই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসময় ছিনতাইকারীদের নিকট হতে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ০১ টি হাতঘড়ি, ১৯ টি চাকু, ০২ টি খুর, ০৭ টি মোবাইল ফোন, ০৭ টি সীমকার্ড এবং নগদ ৩৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
এই বিষয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,ঈদ-উল আযহা’কে সামনে রেখে রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে রাজধানীতে আগত যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করে নির্বিঘে স্বস্তির সাথে বাড়ী ফিরে যেতে পারে এ লক্ষ্য নিয়ে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি এবং মলমপার্টি চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-১ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে ।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।