নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ৫০ বছর পর অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই জেলার মানুষ সেতু বন্ধবে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
এবিষয়ে গোলাম কিবরিয়া মোল্লার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো –
এপাড়ের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি গ্রাম ওপাড়ে ভাংগা উপজেলার ঘাড়ুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ হাট। দুটি উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে অতি শান্ত সৌন্দর্যময় কুমার নদ।
আসেপাশে উল্লেখযোগ্য কোন বাজার না থাকায় আমাদের পাড়ের দৈনন্দিন জিনিসপত্রের জন্য আমরা শরীফাবাদ হাট ও বাজারের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অপরদিকে আমাদের গ্রামের উৎপাদিত পন্য ও কৃষি সামগ্রীর উপর শরীফাবাদ বাজার ও বাজারের আশেপাশের অঞ্চলের মানুষেরা অনেকটা নির্ভরশীল। দুই পাড়ের মানুষ প্রায় সবাই সবার আত্মীয় হওয়ার কারণে সবাইকে উভয় পাড়ে ঘনঘন যাতায়াত করতে হয়।
আশির দশকে এখানকার অস্থায়ী বাঁশের সাকোটি ভেঙে পড়ে। থানা ও জেলা ভিন্ন হওয়ার কারনে নানা জটিলতায় এখানে সেতু করা সম্ভব হয়নি, যেকারণে দুই পাড়ে পারাপারের জন্য একটি মাত্র নৌকার উপরই আমরা নির্ভরশীল ছিলাম।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একঝাঁক উদিয়মান সাহসী নেতৃত্বের কারণে দুইপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। আমরা দুইপাড়ের মানুষ একসঙ্গে বসে নিজনিজ অর্থায়নে কুমার নদের এই আংশে বাঁশের অস্থায়ী সেতু মির্মাণ করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ জানাই সেতু তৈরী করার দুই পাড়ের সকল উদ্যোক্তা এবং সহযোগীদের। আমাদের ইউনিটির কারণে আমরা অচিরেই আমাদের উচ্চ মহলে আলাপ আলোচনা করে পাকা সেতু পাশের বন্দবস্ত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।