মোঃ শহিদুল ইসলাম,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃসন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান মাস্টার (বিএ) গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূণ্য হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল উপজেলা আব্দুল হাকিম অডিটারিয়ামে এক বর্ধিত সভা থেকে সবাই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন । নির্দেশনায় আওয়ামীলিগের কার্যালয় হতে এ দলীয় মনোনয়ন পত্র ৯ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ করে আওয়ামীলিগের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরে ১২ এপ্রিল বিকালের মধ্যে জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ ছিল। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল শুন্য হওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার টিকেট পেতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করার পর দেখা যায় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন ১৮ জন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুকরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস-চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেবুন নেছা চৌধুরী জেসি, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান হাজী ফোরকান উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ, সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফুল মিয়া, সন্দ্বীপ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাফর উল্যা টিটু, মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাজিবুল আহসান সুমন, মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন, সদ্য প্রয়াত মাস্টার শাহজাহান বিএ’র পুত্র নাদিম শাহ আলমগীর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহেদ সারোয়ার শামীম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লেখক ও কলামিস্ট দেলোয়ার হোসেন সন্দ্বীপি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নুর নবী ভূট্টো, হারামিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খসরুর সহধর্মিণী লুত্ফুন নেছা ও জেলা যুবলীগের নেতা আশেক এলাহী সোহেল।
একটি সূত্র ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, জনপ্রতিনিধিদের কাউকে মনোনয়ন দেয়ায় সম্ভাবনা দেখছে না তাঁরা। সে বিষয়ে কিছু যুক্তিও দাঁড় করিয়েছে। বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের কাউকে মনোনয়ন দিলে তাঁর পরিবর্তে আবারও উপনির্বাচন দিতে হতে পারে। যেহেতু সরকারের হাতে সময় কম এক্ষেত্রে বর্তমান জনপ্রতিনিধিকে মনোনয়ন না দেয়ায় বিষয়টি উড়িয়ে দিতে চায় না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সেক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাচ্ছে বৃহত্তর হরিশপুরের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরপ্রশাসক মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান। তিনি ৭৩-৭৪সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম উত্তরজেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সন্দ্বীপ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাফর উল্লাহ টিটু সাবেক পৌরসভার মেয়র।দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১১-২০২১ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্ররাজনীতি মাড়িয়ে ১৯৯৮-৯৯/৯৯-২০০০সালে সরকারি হাজী এবি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। নব প্রজন্মে মুজিব সংগঠনের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য বঙ্গবন্ধু প্রেমী।যার দরুণ তৃণমূলে রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুৃমন। বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। এছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আছেন আলোচনায়।
দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এছাড়া উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে পারে প্রয়াত মাস্টার শাহজাহান বিএ’র পুত্র নাদিম শাহ আলমগীর। দলে মাস্টার শাহজাহান বিএ’র ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে পেতে পারে এ টিকেট।
অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ একজন সজ্জন।তবে দায়িত্বশীল এমন একজন শিক্ষককে এনে জনপ্রতিনিধি করার বিষয়টা নিয়ে অনেকের রয়েছে সন্দেহ।
সব হিসাবকে মাড়িয়ে ১৮ জনের যে কেউ হয়ে যেতে পারেন নৌকার মাঝি