ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

চট্টগ্রামে ড্যাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • ৩৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে রাতে ধরে তুলে নিয়ে গেছে। কি জন্য? একটি মানুষ তার পেটের ক্ষিধের কথা বলেছে। শামসুজ্জামান অনেক কম বলেছে। আপনারা যদি ইতিমধ্যে সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিস্ট এর একটি রিপোর্ট যদি দেখেন সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ছয় মাসে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ এক বেলা না খেয়ে আছে। ৭২ শতাংশ মানুষ ধার করে চলছে। ৫২ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেনা। সুতরাং প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে। এটাকে বলে নীরব দুর্ভিক্ষ। আজকাল নতুন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্ভিক্ষ এখন আর হয়না। বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে চকবাজার কাতালগঞ্জস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

আওয়ামী লীগ সংবিধানের সবকিছু লঙ্ঘন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে রাজি নেই। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়া। দেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আজকে তার সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার সহ সব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে,সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই তারা দিচ্ছে। দিনের ভোট রাতে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাকশাল করার সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে ১৩ মিনিটের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আবার তারাই বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করা যাবে না। যারা গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়েছে তারা যদি সংবিধানের দোহাই দেয় সেটা চলবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’

আমীর খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিনের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো না। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো। দুইটাই সংবিধান দুইটাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিলো। একটা নির্বাচনের আগে ও একটা নির্বাচনের পরে। আমি সরকার প্রধানকে বলবো আপনি চিন্তা করেন আগে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন নাকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে যে সংসদ আসবে তারাই সংবিধান সংশোধন করবে। দুইটাই সম্ভব। চিন্তা করেন কি করবেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোতাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আগামীদিনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটচোরদের তালিকা হচ্চে। দেশে ও বিদেশেও হচ্ছে। ভোট চোরদের রেহায় নেই।

প্রধান বক্তা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, দেশের কোন সেক্টরেই ঠিক নেই। সরকার ভয় পেয়ে গেছে। সারাদেশে আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারে নাই। সাধারণ মানুষ এখন বিএনপির সাথে রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের আর সময় নেই। বিএনপি এখনো চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়নি, যখন ডাক দিবে তখন এই আওয়ামীলীগের কি হবে আল্লাহই জানে।

ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এর ভেতরে কোনো ফাঁকফোকর কিছু নেই। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলে সমালোচনা করেছেন। এরা যখন ড. ইউনুস ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বলছে তখন বুঝতে হবে তাদের পায়ের তলায় মাঠি নেই। তাই চিকিৎসকদেরকে আগামী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃংখলে বন্দি করে রেখেছে নিরপরাধ মহিলা জেসমিনকে হত্যা করেছে। তাই এই সরকার আর সময় দেওয়া যাবেনা। সরকারের পতনের জন্য আগামীতে ১ দফার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন রাজপথে মরণপণ লড়াই করছি। তরুণ চিকিৎসকরা মাঠে নামলেই সরকারের পতন হবে।

বক্তব্য রাখেন জেলা ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মো জানে আলম, চবি শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, চমেক ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, ইউএসটিসির ডা. এ এম রায়হান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. মাসুদ রানা, ডা. জাহিদ ইকবাল, ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মেহেদী হাসান প্রমূখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

চট্টগ্রামে ড্যাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৯:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে রাতে ধরে তুলে নিয়ে গেছে। কি জন্য? একটি মানুষ তার পেটের ক্ষিধের কথা বলেছে। শামসুজ্জামান অনেক কম বলেছে। আপনারা যদি ইতিমধ্যে সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিস্ট এর একটি রিপোর্ট যদি দেখেন সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ছয় মাসে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ এক বেলা না খেয়ে আছে। ৭২ শতাংশ মানুষ ধার করে চলছে। ৫২ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেনা। সুতরাং প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে। এটাকে বলে নীরব দুর্ভিক্ষ। আজকাল নতুন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্ভিক্ষ এখন আর হয়না। বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে চকবাজার কাতালগঞ্জস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

আওয়ামী লীগ সংবিধানের সবকিছু লঙ্ঘন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে রাজি নেই। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়া। দেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আজকে তার সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার সহ সব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে,সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই তারা দিচ্ছে। দিনের ভোট রাতে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাকশাল করার সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে ১৩ মিনিটের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আবার তারাই বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করা যাবে না। যারা গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়েছে তারা যদি সংবিধানের দোহাই দেয় সেটা চলবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’

আমীর খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিনের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো না। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো। দুইটাই সংবিধান দুইটাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিলো। একটা নির্বাচনের আগে ও একটা নির্বাচনের পরে। আমি সরকার প্রধানকে বলবো আপনি চিন্তা করেন আগে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন নাকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে যে সংসদ আসবে তারাই সংবিধান সংশোধন করবে। দুইটাই সম্ভব। চিন্তা করেন কি করবেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোতাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আগামীদিনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটচোরদের তালিকা হচ্চে। দেশে ও বিদেশেও হচ্ছে। ভোট চোরদের রেহায় নেই।

প্রধান বক্তা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, দেশের কোন সেক্টরেই ঠিক নেই। সরকার ভয় পেয়ে গেছে। সারাদেশে আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারে নাই। সাধারণ মানুষ এখন বিএনপির সাথে রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের আর সময় নেই। বিএনপি এখনো চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়নি, যখন ডাক দিবে তখন এই আওয়ামীলীগের কি হবে আল্লাহই জানে।

ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এর ভেতরে কোনো ফাঁকফোকর কিছু নেই। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলে সমালোচনা করেছেন। এরা যখন ড. ইউনুস ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বলছে তখন বুঝতে হবে তাদের পায়ের তলায় মাঠি নেই। তাই চিকিৎসকদেরকে আগামী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃংখলে বন্দি করে রেখেছে নিরপরাধ মহিলা জেসমিনকে হত্যা করেছে। তাই এই সরকার আর সময় দেওয়া যাবেনা। সরকারের পতনের জন্য আগামীতে ১ দফার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন রাজপথে মরণপণ লড়াই করছি। তরুণ চিকিৎসকরা মাঠে নামলেই সরকারের পতন হবে।

বক্তব্য রাখেন জেলা ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মো জানে আলম, চবি শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, চমেক ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, ইউএসটিসির ডা. এ এম রায়হান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. মাসুদ রানা, ডা. জাহিদ ইকবাল, ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মেহেদী হাসান প্রমূখ।