চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ১০৯ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দত্তসার রহমানীয়া মাদ্রাসাটি দক্ষ পরিচালনা ও সঠিক তদারকির অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে পডছে । জানা যায় ১৯১৪ সালে মুসলিম সন্তানদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করর উদ্দেশ্য স্হানীয় সমাজ হিতোষী মুরহুম আজিজুর রহমান ডিপ্টির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকা – চট্রগ্রাম মহা সড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে দত্তসার দীঘির উত্তর পাডে দত্তসার রহমানীয় মাদ্রাসাটি প্রতিস্ঠিত করা হয় । প্রতিস্ঠার পর মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ থাকলেও ক্রমেক্রমে এলাকাবাসীর দান অনুদান ও সরকারী সহযোগিতায় কাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে । কিন্তু কাঠামোগত উন্নতি হলে ও ছাত্র /ছাত্রী সংখ্যা যেমন বাডেনি তেমনি শিক্ষা দিক্ষায় ও উন্নতি করতে পারেনি । স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ ২০ বছর পরিচালোনা কমিটির নির্বাচন হয় না, দীর্ঘ ২০ বছর একঘোয়ামী ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কমিটি । মাদ্রাসার পরিচালোনার সভাপতি আব্দুল কাদের আমেরিকা প্রবাসী । প্রায় ৮৩ বছর বয়স্ক এই সভাপতি ২/৩ বছর পর দেশে আসেন এবং কয়েক মাস থেকে আবার চলে যান। আমেরিকান প্রবাসী হয়ে কি ভাবে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এই বিষয় মহতামিম একেক সময় একেক রকম কথা বলেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন গত ২০ বছরে মাদ্রাসার কোনো বার্ষিক হিসাব উপস্হাপন করেনি । প্রতি বছর সরকার ও প্রবাসী এবং এলাকাবাসীর যে পরিমান দান অনুদান আসে তা দিয়ে মাদ্রাসাটি আরো অনেক উন্নতি করতে পারতো। স্হানীয় সমাজ সেবক ওবায়দুর রহমান বলেন মাদ্রাসার পরিবেশ আয়তন অবস্হান সব মিলিয়ে মাদ্রাসাটি ফেনীর বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিস্ঠান রশিদিয়া মাদ্রাসার মতো হতে পারতো।
মাদ্রাসাটি পরিচালোনার অভাবে শিক্ষা দিক্ষায় অনেকটাই পিছিয়ে পডছে । জানা যায় মাদ্রাসার পাশ্বের বাসিন্দা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানশীল মো: রফিক ভূইয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দত্তসার মৌজায় ২০২২ সালে ১২৬০/২০২২নং দলিলমুলে মাদ্রসার সাথে ৩২০ ডিসমিল জায়গা মাদ্রাসার নামে ওয়াকফলিল্লাহ করে দেন । প্রায় ১১শত ডিসমিল এর আয়তনের ঐতিহ্য বাহী দত্তসার দীঘির ৮০০ শত ডিসমিল এর মালিক ধনাট্য দানশীল মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া ।
তিনি দীঘির পূর্ব পাডের ৮০ ডিসমিল জায়গা জন সাধারণের কবর স্হানের জন্য দান করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৪০০ ডিসমিল জায়গার দান করে দিয়েছেন।জানা যায় দানবীর মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া সব সময় মাদ্রাসাটিতে দান অনুদান দিয়ে থাকেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ১৯১৮ সালে তাকে মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচিত করেন । মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি উদ্যোগে ও সরকারী দান অনুদানে প্রচুর দান অনুদান আসলে ও সঠিক তদারকির অভাবে তেমন উন্নতি হয়নি।
তিনি আরো বলেন ভূয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই আমি গত ৩ /৮ /২০২২ সালে মাদ্রাসার মোহতামিম ফয়জুল্লাহ । পিতা -ইদু মিয়া । এবং সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বাবু পিতা – মৃত আমিরুল ইসলাম এ দুই জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি । তিনি আরো বলেন দলিলের মাধ্যমে ৪০০ ডিসমেল জায়গা ওয়াকফ করে দিছি । মহান আল্লাহ আমাকে অনেক ধন সম্পদ দিছে আমি আগামীতে আমার সম্পত্তির আরো কিছু অংশ এই প্রতিস্ঠানে দান করে দিবো। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন মাদ্রাসর সঠিক কোনো হিসাব পাই না। সভাপতি অধ্যক্ষের অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে মোহতামিম ফয়জুল্লাহ বলেন আমি এই মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে যোগদান করি।
১৯৯৯ সাল থেকে মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছি । এই সব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট । এলাকাবাসীর দাবী পুরনো ঐতিহ্য বাহী এই মাদ্রাসাটি সঠিক তদারকির মাধ্যমে আরো উন্নতি করা হোক, না হয় পরিচালনা কমিটি ভেংগে দিয়ে সুন্দর একটি পরিচালনা কমিটি করা হোক।