สล็อตออนไลน์ สล็อตออนไลน์ สล็อตออนไลน์ สล็อตออนไลน์
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি - ঢাকার বার্তা ২৪
আন্তর্জাতিক জাতীয়রাজধানীরাজনীতিঅপরাধ  লিড নিউজসর্বশেষখেলাধুলাপ্রযুক্তিব‍্যবসা বানিজ‍্যশেয়ার বাজারসারাদেশব‍্যাংক বীমাঅন্যান্য

ব্রেকিং

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

Published on: August 11, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির অবসর ভবনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডরপ) এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই দাবি তোলা হয়।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডরপের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জেবা আফরোজা। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (WHO FCTC)-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়া সংশোধনী থেকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সেগুলো হলো— অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা।

তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (CSR) নিষিদ্ধ করা। ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

তামাকপণ্যের সব ধরনের খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। তিনি বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য উইং-এর সিনিয়র সহকারী সচিব থাকাকালীন বাংলাদেশ ২০০৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি WHO FCTC স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই চুক্তির বাধ্যবাধকতায় আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করি। কিন্তু সম্প্রতি গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গত ১৩ জুলাই তামাক কোম্পানির সাথে বসে মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা WHO FCTC-এর ৫.৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

বিশেষ অতিথি ডা. রিশাদ চৌধুরী রবিন বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা অগ্রাধিকার পাবে—তামাক কোম্পানির স্বার্থ নয়। তাই তামাক কোম্পানির সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ সভা আয়োজন করা যাবে না।’

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সচিব (অব.) ও পরিচালক মোহাম্মদ আলী। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব মুন্সী আলাউদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত সচিব (অব.) ড. মো. সুরাতুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (অব.) মো. ইসমাইল হোসেন এবং অধ্যাপক (অব.) সামসাদ বেগম।

বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু হয়, প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেন এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। তাই প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করে আগামী প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now