নিজস্ব প্রতিবেদকঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
ভিকটিম মকছুদ আলম বিপ্লব (৩৭) ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকায় বসবাস করতেন। আসামী আলী মর্তুজা এবং মোঃ করিমুল হক এর সাথে ভিকটিমের দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। ভিকটিম বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করেন।কিন্তু আসামীগণ কর্তৃক ভিকটিমকে হয়রানি অব্যাহত থাকে।
দীর্ঘদিন যাবৎ আসামীদের দায়েরকৃত হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে দিতে ভিকটিম আর্থিক এবং মানসিকভাবে ভেংগে পড়েন। অনবরত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ হয়রানি সহ্য করতে না পেরে গত ০৮ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিম নিজের জীবনের প্রতি আশাহত হয়ে তার বসতঘরে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের আইডি থেকে ভিকটিম নিজের ভিডিওতে বর্ণিত আসামীদের হয়রানি করার বিষয়টি প্রকাশ করেছিল।
মূলতঃ মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ভিকটিম আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পথ বেছে নেয়।দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিমকে মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ০৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২০ মার্চ ২০২৩ ইং ৭ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী আলী মর্তুজা (৪৮)ফেনীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আসামী আলী মর্তুজার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোট এলাকা হতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল ২১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ রাত ০০৩০ ঘটিকায় বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ৪নং আসামী মোঃ করিমুল হক (৩২)প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ঘটনার পর হতে সে পলাতক রয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করে।
সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ করিমুল হক (৩২) এর বিরুদ্ধে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১০টি এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১টি সহ মোট ১১ টি মামলা পাওয়া যায়।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।