ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লীতে চোখের সমস্যার জন্য পড়াশোনা করতে না পারায় আল আদিল (১৫) নামে এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের বড়গাঁও মধ্যপাড়া গ্রামে ওই কিশোরের নিজ কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত আল আদিল মধ্যপাড়া গ্রামের মাহামুদ হাসান মানিকের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার (০১ মার্চ) রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন আল আদিল। বৃহস্পতিবার অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন শয়নকক্ষের দরজা খুলে দেখেন, ঘরের শরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলছে আল আদিল। পরে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও জানা যায়, আল আদিল ছোট থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগতেছিলেন। দিনে সামান্য পরিমাণ দেখতে পেলেও রাতে তেমন দেখতে পেতো না। তার ইচ্ছা ছিলো বড় ভাইয়ের মতো সে পড়াশোনা করবে। পড়াশোনা করার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলোও সে। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি তার। তাই অভিমানে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারণা করতেছেন পরিবারের লোকজন ও পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যুবকের নিজ ঘরের শরের সঙ্গে দঁড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন থেকে চোখের সমস্যায় ভুগছিলো। তার ইচ্ছা ছিলো পড়াশোনার করার কিন্তু চোখের সমস্যার জন্য পড়ালেখা করতে পারেনি। তাই হয়তো অভিমান করে এইভাবে আত্মহত্যা করেছে। তার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন আকাশ
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
মোবাঃ ০১৭১৬১২৯৯৬৭
তারিখ ০১.০৩.২০২৩