নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি পদ না পেয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে উপজেলা বি এন পির সদস্য চরাদি ইউনিয়নের বারেক হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার।
সূত্রে জানা যায় সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় এসে নানান অপকর্মে লিপ্ত সোহাগ হাওলাদার। তারই ধারাবাহিকতায় কবাই ইউনিয়নের ডিসি ঘাট থেকে চরকাউয়া লাইনে চলমান পরিবহন সেক্টরের দিকে নজর পরে তার। হয়ে উঠতে চান মালিক সমিতির সভাপতি, সেই ট্যাগেট করে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদকে তার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করে। কিন্তু মালিক সমিতির বিধি অনুসারে সমিতির সদস্য হতে হলে লাইনে অবশ্যই নিজেস্ব গাড়ি থাকতে হবে কিন্তু সোহাগের কোনো গাড়ী না থাকায় বিধি লঙ্ঘন করে কিছু করা সম্ভব নয় বলে বিষয় টি তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬শে অক্টোবর লাইনে থাকা জাহিদের গাড়িতে থাকা যাত্রীদের জোর পূর্বক গাড়ী করে থেকে নামিয়ে দিয়ে তার গাড়িটি আটকে রাখে। সংবাদ পেয়ে মালিক সমিতির লোকজন গিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে অনেক চেষ্টা চালায় কিন্তু সোহাগ তাদের জানিয়ে দেয় তাঁকে মালিক সমিতির সভাপতি করতে হবে নয়তো গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। নিরুপায় হয়ে জাহিদ বাকেরগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে থানা পুলিশ গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে আনেন। কিন্তু থানায় আসার পরে মনগড়া দাবিতে সোহাগ হাওলাদার ক্ষিপ্র হয়ে জাহিদের লোকদের উপর হামলা করে। বিষয় টি জানাজানি হলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে থানা পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে এনে জাহিদকে বুঝিয়ে দেয়। ঘটনা এখানেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সোহাগ হাওলাদার নানা কৌশলে শোধ নিতে চেষ্টা করে। তারই অংশ হিসেবে গত ৩০ শে নভেম্বর চরাদি মাঝের ব্রীজ নামক স্থানে দুপুর আনুমানিক ২:৩০ টায়। যাত্রী পরিচয়ে কিছুলোক গাড়িতে উঠে ভাড়ার বিষয়ে তর্ক করে। বিভিন্ন ভাবে জাহিদকে উত্তপ্ত করে, একপর্যায়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাস গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে, এ সময় সোহাগ হাওলাদার নজরুল সহ তাদের সঙ্গীয় লোকজন প্রাইভেট কারে ঘটনাস্থলে আসে এবং তারাও তাকে মারধর করে, তার পকেটে থাকা নগদ টাকা, ঘড়ি সহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে এক পর্যায় ইলেট্রিকের তার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়, এ সময় স্থানীয় লোকজন ভীড় করলে তাকে জোরপূর্বক চরামদ্দি পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে পুলিশে দিতে চায়।
তখন ফাঁড়ি পুলিশ বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বিষয়টি আচ্ করতে পেরে জাহিদকে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠান একইসাথে বাস গাড়ি টি পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জাহিদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে সোহাগ হাওলাদার সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামি করে বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন যার মামলা নং -৮৩৪/২০২৪ উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক অধিকতর তদন্তের জন্য বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব দেন। এ বিষয় ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয় টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলবে অপরাধ প্রমানিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।