নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৩০ অক্টোবর বুধবার সবুজবাগের বাসিন্দা রমজান(৩১) নামে জমির ব্যবসায়ীকে বিকেল ৫ ঘটিকার সময় পিটিয়ে হত্যা করেছেন সবুজবাগের মাদককারবারী ও ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও হারুন ও তার সন্ত্রাসী ক্যাডারা বাহিনীরা।
এই বিষয়ে খুন হওয়া রমজানের স্ত্রী ও মায়ের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,রমজানের সাথে জাহাঙ্গীরের জায়গায় জমির ব্যবসা ছিলো কয়েকদিন আগে বালু বরাটে দুইটা ড্রেজার কিনলো রমজান ড্রেজারের ভাগ চাইতে গেলে রমজান ভাগদিতে অস্বীকার করে রমজান বলে আমার টাকা দিয়ে ড্রেজার কিনে ব্যবসা করছি ড্রেজারের ভাগ দিবো কেনো.. এতেই বিপত্তি ঘটে জাহাঙ্গীরের।রমজান এর আগে ও জাহাঙ্গীর কাছে তার পাওনা টা চাওয়া নিয়ে ও বিরোধ হয় তাদের মধ্য ।
তার জন্য গত কয়েকদিন ধরে রমজান জাহাঙ্গীরের কাছে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দুমকি দেয়।আমরা রমজান কে বলছি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করতে কিন্তু রমজান সেটা করতে রাজি হয়নি।আজ রমজান তার কাজ সেরে বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বাসার দিকে আসার পথে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জাহাঙ্গীর ও হারুন তার দলবল নিয়ে রমজানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারতে মারতে রমজান’কে এক পযার্য়ে একটি বাড়ি ভিতরে ঢুকিয়ে রান্দা ও দারালো চুরি দিয়ে এলপাতারী কুপিয়ে হত্যা করে ।অধিক রক্তপাত হওয়ায় ঘটনারস্থলে রমজানের মৃত্যু হয় ।
সবুজবাগ থানায় অভিযোগ বা মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন,সন্ধ্যারপর থেকে আমরা থানার বারেন্দা বারেন্দা ঘুরছি মামলা তো দুরে থাক অভিযোগ দিতে পারি নি আমাদের অভিযোগ ও মামলা নিতে নারাজ ছিলেন সবুজবাগ থানা পুলিশ।
মাষ্টার মাইন্ড হত্যাকারী শীর্ষসন্ত্রাসী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধীক মাদকের ও ভূমিদস্যুতার মামলা রয়েছে ।
ঘটনারস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,রমজান ও জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন যাবত একসাথে এই এলাকায় আড্ডা দিতেন দুইজনে জায়গা জমির ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলতেন যোগাযোগ রাখতেন সবার সাথে,রমজানকে এই এলাকার সবাই চিনে,রমজান ডাকাতি করবে এটা একটা হাস্যকর কথা বার্তা রমজান ডাকাতি করবে কেনো ? তার কি কোনো অভাব অনটন আছে ? গণপিটুনির প্রশ্ন উঠেনা তবে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।
অন্য আরেক সূত্রে জানা যায়,জাহাঙ্গীরের জায়গা জমির ব্যবসায় ছিলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীর কাজে রমজানের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার ও বেশী ধার নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ।ধারের টাকা চাওয়া নিয়ে রমজানের সাথে জাহাঙ্গীরের সাথে বিরোধ হয় বেশ কয়েকদিন ধরে ।তারাই সূত্র ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গণপিটুনির নাটক সাজিয়ে রমজান’কে খুন করে তারা ।
রমজানের ছোটবোন জানান,বেশ কয়েকদিন দরে ভাইকে মারার জন্য প্লান করেন জাহাঙ্গীর ভাইয়াকে মারার জন্য জাহাঙ্গীর ও হারুন ভাড়াটে গুন্ডা এনে গনপিটুনীর নাটক সাজিয়ে ভাইয়াকে হত্যা করে এই হত্যার আমরা সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী জাহাঙ্গীর সহ যারা জড়িত ছিলেন সকলের বিচার চাই..।
রমজান হত্যার বিষয়ে জাহাঙ্গীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি জানান,সে মারা গেছে তার স্বজনরা যদি বলে আমি হত্যা করছি তাহলে আমার কি বলার আছে তাদের যা ভালো লাগে তারা করুক।
ঐ বিষয়ে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইয়াসিন আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিবো।