ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩০২৭ বার পড়া হয়েছে

খান মেহেদী :- সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আগস্টে মার্কিন পোশাক আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া চীন থেকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আমদানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।”

জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, কম্বোডিয়া ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম থেকে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।

এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে।

তবে রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড কার্যকরভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারছে।

তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সামরিক সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।

পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মোকাবিলা করতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক কারখানা এখনও নানারকম ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে এসব কারখানার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।

বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

গত ১৬ অক্টোবর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএ’র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক কারখানার স্টিলের কাঠামোর জন্য অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ০১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

খান মেহেদী :- সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আগস্টে মার্কিন পোশাক আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া চীন থেকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আমদানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।”

জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, কম্বোডিয়া ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম থেকে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।

এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে।

তবে রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড কার্যকরভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারছে।

তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সামরিক সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।

পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মোকাবিলা করতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক কারখানা এখনও নানারকম ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে এসব কারখানার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।

বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

গত ১৬ অক্টোবর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএ’র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক কারখানার স্টিলের কাঠামোর জন্য অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।