পশ্চিম ষোলশহরের কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা- অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মনোনিত হওয়ায় স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
উক্ত সংবর্ধনা ও মতবিনময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম মুন্সি, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ মাহফুজ, সিহাবুজ্জামান সিহাব, ইলিয়াস ইলু, জহুর আলম, শফিউল আলম শফি, মোহাম্মদ শাহেদ আলম, শামসুল আলম কোম্পানী, মোহাম্মদ মাহাবুব, মোহাম্মদ রাশেদ মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ দিদার, মোহাম্মদ জাবেদ, মোহাম্মদ মোরশেদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ওয়াজেদ আলী মাসুদ, জামাল উদ্দিন, শওকত শরীফ, দোস্ত মোহাম্মদ, জানে আলম, নাছির, বাপ্পি, মহিউদ্দিন, মিল্লাত, সুমন, কাজল সেন, সুবাশীষ, জাবেদ হোসেন, মহিউদ্দিন মামুন প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এডভোকেট এনামুল হক এনাম বলেন, কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, জমি দখলকারী রাজনৈতিক কোন পরিচয় আইনের কাছে মুখ্য নয়। বা সে কোন দলের কর্মী হতে পারে না উল্লেখ করে এডভোকেট এনামুল হক এনাম বলেন, তারেক রহমানের ইমেজ সংকট হয়- এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে।
‘আমরাই গড়বো আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সারা দেশেই সর্তকতা মূলক মূলমন্ত্র হিসেবে আমাদের এই বানীটুকু আপনার অত্র ওয়ার্ডের পাড়ায় মহল্লায় এবং ইউনিটে ইউনিটে পৌঁছে দেয়ার আহবান থাকবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারীনী খুনি শেখ হাসিনার দুর্নীতি, লুটপাট এবং হাজারো অনিয়মে ধ্বংস করে দিয়েছেন। হাসিনা জুলাই অভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। আমরা আশা করছি, অন্তর্র্বতী সরকার খুনি হাসিনাসহ এসবের হুকুমদাতাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। যারা দীর্ঘ ১৫ বছর অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী মামলা হবে। আমরা কখনও আইনকে নিজের হাতে তুলে নেব না। আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বিচার বিভাগ পদক্ষেপ নেবে আইনের মাধ্যমে। কিন্তু কেউ কোনোভাবে আইনকে হাতে তুলে নেবেন না।