ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

পোরশায় আমন ধানে পচন রোগ কৃষকরা বিপাকে

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩০৩৩ বার পড়া হয়েছে

নাহিদ পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের ক্ষেতে পচন রোগ কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। রোগাক্রান্ত ধান গছে কীটনাশক স্প্রে করে তেমন ফল পাচ্ছেনা বলে জানাগেছে। এই রোগের আক্রমনে ধানগাছ গোড়া থেকে পচে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা ভোর হলেই পিঠে কীটনাশক স্প্রে করার যন্ত্র চাপিয়ে ধানের জমিতে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন উপায়ে ধান বাঁচানোর চেষ্ঠাও করছেন তারা। এ অবস্থা থাকলে আমন ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিতপুর ইউনিয়নে এ রোগে আক্রান্ত আমন ধানের পরিমান বেশী বলে জানাগেছে। কৃষকরা জানান, নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকরা পরামর্শ চাইলেও তাকে পাওয়া যায়না বলে তারা জানান। নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জের আব্দুর রহিম, আক্কাস আলী, শোভাপুরের আবু সফিয়ান জানান, তাদের জমিতে রোপনকৃত আমনধান ব্যাপকভাবে পচন রোগে আক্রান্ত। জমির ধানের ফলন প্রায় হবেইনা বলে তারা ধারনা করছেন। এতে এই ইউনিয়নে ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে তারা বলছেন।

কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ বা সহযোগীতা পাননি বলেও তারা জানান। ঘাটনগর ইউনিয়নের পাঁচড়াই গ্রামের মগবুল হোসেন মাষ্টার সহ নি¯িকনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কিছুদিন আগেও জমির ধান ভাল ছিল। হঠাৎ করে ধানে পচন রোগের আক্রমন শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছেন তারা। অপরদিকে, মশিদপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার জমিতে কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের ডেকেও কাউকে পাওয়া যায়না বলে তিনি অভিযোগ করেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ রোগের আক্রমন থেকে ধান বাঁচার উপায় ধান গাছে কীটনাশক প্রয়োগ। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমাদের উপ-কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকায় নিয়মিত যাচ্ছেন এবং তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান। কৃষি কর্র্মকর্তা মামুনুর রশিদ নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত উল্লাহ্র বিষয়ে তিনি বলেন, ওই উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার আচরন খারাপ এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। শিগ্রই তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

পোরশায় আমন ধানে পচন রোগ কৃষকরা বিপাকে

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নাহিদ পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের ক্ষেতে পচন রোগ কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। রোগাক্রান্ত ধান গছে কীটনাশক স্প্রে করে তেমন ফল পাচ্ছেনা বলে জানাগেছে। এই রোগের আক্রমনে ধানগাছ গোড়া থেকে পচে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা ভোর হলেই পিঠে কীটনাশক স্প্রে করার যন্ত্র চাপিয়ে ধানের জমিতে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন উপায়ে ধান বাঁচানোর চেষ্ঠাও করছেন তারা। এ অবস্থা থাকলে আমন ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিতপুর ইউনিয়নে এ রোগে আক্রান্ত আমন ধানের পরিমান বেশী বলে জানাগেছে। কৃষকরা জানান, নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকরা পরামর্শ চাইলেও তাকে পাওয়া যায়না বলে তারা জানান। নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জের আব্দুর রহিম, আক্কাস আলী, শোভাপুরের আবু সফিয়ান জানান, তাদের জমিতে রোপনকৃত আমনধান ব্যাপকভাবে পচন রোগে আক্রান্ত। জমির ধানের ফলন প্রায় হবেইনা বলে তারা ধারনা করছেন। এতে এই ইউনিয়নে ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে তারা বলছেন।

কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ বা সহযোগীতা পাননি বলেও তারা জানান। ঘাটনগর ইউনিয়নের পাঁচড়াই গ্রামের মগবুল হোসেন মাষ্টার সহ নি¯িকনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কিছুদিন আগেও জমির ধান ভাল ছিল। হঠাৎ করে ধানে পচন রোগের আক্রমন শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছেন তারা। অপরদিকে, মশিদপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার জমিতে কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের ডেকেও কাউকে পাওয়া যায়না বলে তিনি অভিযোগ করেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ রোগের আক্রমন থেকে ধান বাঁচার উপায় ধান গাছে কীটনাশক প্রয়োগ। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমাদের উপ-কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকায় নিয়মিত যাচ্ছেন এবং তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান। কৃষি কর্র্মকর্তা মামুনুর রশিদ নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত উল্লাহ্র বিষয়ে তিনি বলেন, ওই উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার আচরন খারাপ এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। শিগ্রই তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।