নাহিদ পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি:
নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের ক্ষেতে পচন রোগ কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। রোগাক্রান্ত ধান গছে কীটনাশক স্প্রে করে তেমন ফল পাচ্ছেনা বলে জানাগেছে। এই রোগের আক্রমনে ধানগাছ গোড়া থেকে পচে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা ভোর হলেই পিঠে কীটনাশক স্প্রে করার যন্ত্র চাপিয়ে ধানের জমিতে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন উপায়ে ধান বাঁচানোর চেষ্ঠাও করছেন তারা। এ অবস্থা থাকলে আমন ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিতপুর ইউনিয়নে এ রোগে আক্রান্ত আমন ধানের পরিমান বেশী বলে জানাগেছে। কৃষকরা জানান, নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকরা পরামর্শ চাইলেও তাকে পাওয়া যায়না বলে তারা জানান। নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জের আব্দুর রহিম, আক্কাস আলী, শোভাপুরের আবু সফিয়ান জানান, তাদের জমিতে রোপনকৃত আমনধান ব্যাপকভাবে পচন রোগে আক্রান্ত। জমির ধানের ফলন প্রায় হবেইনা বলে তারা ধারনা করছেন। এতে এই ইউনিয়নে ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে তারা বলছেন।
কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ বা সহযোগীতা পাননি বলেও তারা জানান। ঘাটনগর ইউনিয়নের পাঁচড়াই গ্রামের মগবুল হোসেন মাষ্টার সহ নি¯িকনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কিছুদিন আগেও জমির ধান ভাল ছিল। হঠাৎ করে ধানে পচন রোগের আক্রমন শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছেন তারা। অপরদিকে, মশিদপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার জমিতে কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের ডেকেও কাউকে পাওয়া যায়না বলে তিনি অভিযোগ করেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ রোগের আক্রমন থেকে ধান বাঁচার উপায় ধান গাছে কীটনাশক প্রয়োগ। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমাদের উপ-কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকায় নিয়মিত যাচ্ছেন এবং তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান। কৃষি কর্র্মকর্তা মামুনুর রশিদ নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত উল্লাহ্র বিষয়ে তিনি বলেন, ওই উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার আচরন খারাপ এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। শিগ্রই তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।