মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল
নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বিএনপি পন্থী হেকমত শেখ (৩৬) ও মোঃ আমিনুর গাজী (৩৭) সহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বি এন পি সর্মথিত আকুবর শেখ ও মান্নু শেখের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জালাল খান ওরফে ধলা মেম্বরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন বিকালে বুড়িখালী বাজারে বি এন পি অফিসে মিটিং ডাকলে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়।
ওই মিটিংয়ে জালাল খান ওরফে ধলা মেম্বারের সমর্থকদের হামলার বিষয়টি উত্থাপন হলে আশপাশ থেকে আশা নেতাকর্মীরা আপত্তি জানিয়ে মিটিং শেষ করে চলে যান বলে জানান বিএনপি সমর্থক পার্শ্ববর্তী পার বিষ্ণু পুর গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম মোল্যাসহ অনেকে।
পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং বুড়ীখালী বাজারে বিএনপি অফিসসহ ৭/৮ টি দোকান ভাংচুর হয়। এ সময় হেকমত শেখ ঝুপির কোপে ও আমিনুর গাজী চরা গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা বিএনপি সমর্থকরা।
এদিকে জালাল খান ওরফে ধলা মেম্বারের বাড়ীতে গেলে কোন পুরুষকে পাওয়া যায় নি। মহিলারা জানান, আওয়ামিলীগ সরকার পতনের পর থেকে তাদের বাড়ী পুরুষ শূন্য। আশপাশ থেকে আসা বিএনপির মিটিংয়ে আসা লোকজন আমাদেরকে হামলা করার পক্ষে না থাকায় তাদেরও ওরা লাঞ্ছিত করেছে। এ ছাড়া মানু শেখে বিগত দিনে আওয়ামীলীগের সকল মিটিং ও মিছিলে থেকে সুবিধা নিয়েছে। এখন বিএনপি সেজে আমাদের বাড়ী ভাংচুরসহ আগুন দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। পুরুষ শূন্য বাড়ীতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
তবে মান্নু শেখ বিগত দিনে নিজের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামিলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে তিনি গিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্ত কোন পদে তিনি ছিলেননা বলে জানান।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।