মো. সাখাওয়াত উল্লাহ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রেমিকের প্রতারণায় মর্মাহত হয়ে বিষ পানে এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার চরনিখলা গ্রামে নিহতের কথিত প্রেমিক মো. রুবেল মিয়ার বাড়িতে এই বিষপানের ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত তরুণীর নাম রূপালী বেগম(১৬)। সে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের মেয়ে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিহতের বড় ভাই মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে প্রেমিক মো. রুবেল মিয়াকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রুবেল মিয়া ওই গ্রামের মো. আমীর হোসেনের ছেলে।
মামলার বাদী জানান, তার ছোট বোন রুপালী বেগম ঈশ্বরগঞ্জ পাট বাজার আন-নূর মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। আনুমানিক এক বছর আগে অভিযুক্ত রুবেল মিয়ার সাথে তার বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুবেল মিয়া বিভিন্ন প্রলোভনে তার বোনকে বিয়ের আশ্বাস দিতো। এরই ধারাবাহিতায় গত বুধবার আনুমানিক ১০ টার দিকে রুবেল মিয়া তার বোন রুপালীকে বিয়ে করার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর রূবেল মিয়া তার প্রেমের মুখোশ পরিবর্তন করে রূপালীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় এবং এলোপাথাড়ি মারপিট করে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। যেকারণে তার বোন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং অপমানিত হয়ে মনের দুঃখে রুবেলের বসতবাড়িতে কিটনাশক (বিষ) পান করে। পরে রুবেল তার বোনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতনামা রোগী হিসেবে হাসপাতালে রূপালিকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে তার বোনের মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান জানান ‘এ বিষয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে বুুধবার হাসপাতালে রূপালীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রুবেল মিয়াকে আটক করে আমাদের অবগত করেন। আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।