ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য আমরা সহপাঠীরা ছাত্রদের ‘রেসকিউ ও ত্রাণ বিতরণ’

  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩০৪৮ বার পড়া হয়েছে

 

বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। গত ২১ আগস্ট ভারত থেকে উজানের পানি এসে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ভাসিয়ে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ রওনা দিতে থাকে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে।সাথে সাথে আমরা বেশ কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধুরা মিলে বন্যার্তদের পাশে ত্রান ও রেসকিউ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে সাথে সাথেই ২১তারিখ থেকে আমরা ত্রান ও বোট সংগ্রহ করে পরের দিন ২২তারিখ সকালে বোট আর ট্রাক নিয়ে কয়েকশত মানুষের জন্য ত্রান ও রেসকিউর জন্য যা যা দরকার সব নিয়ে ফেনীর মহুরী গন্জে নেমেই আটকা পড়া মানুষদের উদ্দার কাজ শুরু করি।আটকা পড়া মানু‌ষের অবস্থা এত ভয়াবহ ছিল যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। ওখানে মানুষের বাঁচার আকুতি কান্না দেখে আমাদের মন ভারী হয়ে যায়।এবং ওখানের স্থানীয় মানুষরা সবার কাছে অনুরোধ করতেছে ওদের আত্মীয়-স্বজনকে উদ্ধার করার জন্য এবং আমাদের সহপাঠীরা দুইটা বোট নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে যাই। পরে আমরা বোটে করে আমরা ত্রাণ গুলো নিয়ে যায় এবং ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষকে উদ্ধার করতে তাকি এবং ওখানে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আছে তাদেরকে শুকনো খাবার দিয়ে থাকি। এভাবে আমাদের উদ্ধারকাজ চলতে থাকে আমরা অনেক ভিতরে, ফাজিলপুর, মুহুরী বাজার, পুর্ব মন্দিয়া, দক্ষিণ মন্দিয়া, উত্তর কুমার, দক্ষিণ কুমার,কৈয়রা,শিবপুর,নিচ পানুয়া, ছাগলনাইয়া, ঘোপাল, ফুলগাজী, পরশুরাম, সিলনিয়া সহ যেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে তাদেরকে ও উদ্ধার করি। অনেকেই আবার আটকা পড়ে আছে যারা বাঁচার জন্য ঘরের টিনের উপর আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে ও উদ্ধার করি। আরো বিভিন্ন এলাকায় মানুষদেরকে বিশুদ্ধ পানি শুকনা খাবার দিয়ে থাকি, অনেক বলছেন তিন দিন ধরে কোন বোট নৌকা তাদের কাছে খাবার নিয়ে আসে নাই, খুবই মানবেতর জীবনযাপন দেখে আমাদের বুকটা ভারী হয়ে উঠে। আমরা ৫০০ লিটার উপরে পানি নিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার করার সময় আমরা কয়েকটা লাশ ও উদ্ধার করি তাদেরকে অনেক জায়গায় খুঁজাখুঁজির পরে সব জায়গায় পানি আর পানি তাদেরকে কবর দেওয়ার মতন কোন জায়গা ছিল না অনেক ঘুরাঘুরির পরে একটা উপরে স্থান পাই,সেখানে তাদেরকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করি।আমারা প্রায় চারদিন যাবৎ ত্রান বিতরন ও সহায়তা করি,এবং আগামী দুই চার দিন পর আবারও বন্যার্তেদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করি।আমাদের এই টীমে যারা সার্ভিক সহযোগিতা ছিলেন, মোহাম্মদ জাহিদ, শাকিল,আনিস মোহাম্মদ বিবলু,তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ,মিনহাজুল হক মিনার,এহসান মনির,তানভীর আহমেদ, মুতাজ সিকদার, মাহফুজ মুন্না,ইমাম সাকিব,

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য আমরা সহপাঠীরা ছাত্রদের ‘রেসকিউ ও ত্রাণ বিতরণ’

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

 

বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। গত ২১ আগস্ট ভারত থেকে উজানের পানি এসে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ভাসিয়ে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ রওনা দিতে থাকে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে।সাথে সাথে আমরা বেশ কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধুরা মিলে বন্যার্তদের পাশে ত্রান ও রেসকিউ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে সাথে সাথেই ২১তারিখ থেকে আমরা ত্রান ও বোট সংগ্রহ করে পরের দিন ২২তারিখ সকালে বোট আর ট্রাক নিয়ে কয়েকশত মানুষের জন্য ত্রান ও রেসকিউর জন্য যা যা দরকার সব নিয়ে ফেনীর মহুরী গন্জে নেমেই আটকা পড়া মানুষদের উদ্দার কাজ শুরু করি।আটকা পড়া মানু‌ষের অবস্থা এত ভয়াবহ ছিল যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। ওখানে মানুষের বাঁচার আকুতি কান্না দেখে আমাদের মন ভারী হয়ে যায়।এবং ওখানের স্থানীয় মানুষরা সবার কাছে অনুরোধ করতেছে ওদের আত্মীয়-স্বজনকে উদ্ধার করার জন্য এবং আমাদের সহপাঠীরা দুইটা বোট নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে যাই। পরে আমরা বোটে করে আমরা ত্রাণ গুলো নিয়ে যায় এবং ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষকে উদ্ধার করতে তাকি এবং ওখানে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আছে তাদেরকে শুকনো খাবার দিয়ে থাকি। এভাবে আমাদের উদ্ধারকাজ চলতে থাকে আমরা অনেক ভিতরে, ফাজিলপুর, মুহুরী বাজার, পুর্ব মন্দিয়া, দক্ষিণ মন্দিয়া, উত্তর কুমার, দক্ষিণ কুমার,কৈয়রা,শিবপুর,নিচ পানুয়া, ছাগলনাইয়া, ঘোপাল, ফুলগাজী, পরশুরাম, সিলনিয়া সহ যেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে তাদেরকে ও উদ্ধার করি। অনেকেই আবার আটকা পড়ে আছে যারা বাঁচার জন্য ঘরের টিনের উপর আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে ও উদ্ধার করি। আরো বিভিন্ন এলাকায় মানুষদেরকে বিশুদ্ধ পানি শুকনা খাবার দিয়ে থাকি, অনেক বলছেন তিন দিন ধরে কোন বোট নৌকা তাদের কাছে খাবার নিয়ে আসে নাই, খুবই মানবেতর জীবনযাপন দেখে আমাদের বুকটা ভারী হয়ে উঠে। আমরা ৫০০ লিটার উপরে পানি নিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার করার সময় আমরা কয়েকটা লাশ ও উদ্ধার করি তাদেরকে অনেক জায়গায় খুঁজাখুঁজির পরে সব জায়গায় পানি আর পানি তাদেরকে কবর দেওয়ার মতন কোন জায়গা ছিল না অনেক ঘুরাঘুরির পরে একটা উপরে স্থান পাই,সেখানে তাদেরকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করি।আমারা প্রায় চারদিন যাবৎ ত্রান বিতরন ও সহায়তা করি,এবং আগামী দুই চার দিন পর আবারও বন্যার্তেদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করি।আমাদের এই টীমে যারা সার্ভিক সহযোগিতা ছিলেন, মোহাম্মদ জাহিদ, শাকিল,আনিস মোহাম্মদ বিবলু,তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ,মিনহাজুল হক মিনার,এহসান মনির,তানভীর আহমেদ, মুতাজ সিকদার, মাহফুজ মুন্না,ইমাম সাকিব,