ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্র জমায়েত চট্টগ্রামে

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • ৩০৭৪ বার পড়া হয়েছে

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, চবি

সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা৷ এ সময়ে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়ে ২ নম্বর গেটে আসেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৫০০০ থেজে ৬০০০ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টার শাটল ট্রেনে চড়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে ষোলশহর রেল স্টেশনে আসেন শিক্ষাটারা। প্রতিবেদন লেখা (৫ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত) শিক্ষার্থীরা ২ নম্বর গেট থেকে চকবাজারের উদ্দেশ্য মিছিল নিয়ে যাচ্ছে।

এ সময়ে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বোনের রক্ত কেন? চট্টগ্রাম কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না,’ ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে,’ ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি না মেনে নিয়ে উল্টো আমাদেরকে আহত করা হচ্ছে। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা এসব মেনে নিব না।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মেয়ে শিক্ষার্থীসহ উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থী আজ বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। দাবিটি হলো- সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্র জমায়েত চট্টগ্রামে

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, চবি

সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা৷ এ সময়ে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়ে ২ নম্বর গেটে আসেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৫০০০ থেজে ৬০০০ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টার শাটল ট্রেনে চড়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে ষোলশহর রেল স্টেশনে আসেন শিক্ষাটারা। প্রতিবেদন লেখা (৫ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত) শিক্ষার্থীরা ২ নম্বর গেট থেকে চকবাজারের উদ্দেশ্য মিছিল নিয়ে যাচ্ছে।

এ সময়ে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বোনের রক্ত কেন? চট্টগ্রাম কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না,’ ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে,’ ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি না মেনে নিয়ে উল্টো আমাদেরকে আহত করা হচ্ছে। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা এসব মেনে নিব না।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মেয়ে শিক্ষার্থীসহ উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থী আজ বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। দাবিটি হলো- সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।