সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ:-বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের নবগ্রাম টেলিফোন বাজারে সরকারের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নবগ্রাম এলাকার সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে নবগ্রাম টেলিফোন বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. আক্কাছ আলীর সভাপতিত্বে ও তাড়ল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালামের সঞ্চালনায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-২(দিরাই ও শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ব্যারিস্টার অনুকূল তালুকদার ডাল্টন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,শাল্লা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশীষ তালুকদার,অধ্যাপক জাফর,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান,দিরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়,আবুল কালাম,মো. আজিজুর,সূর্যসেন দাস পান্না,সরমঙ্গল ইউপি যুবলীগের সভাপতি দুলাল মিয়া,নুরুল হক,সামাদ মিয়া,রাজ্জাক মিয়া,ডা.সৈয়দ আহমদ,সারোয়ার খান,রুমান আরমান,,তুহিন,মোজ্জামেল হক,পাভেল মিয়া,শুভাঙ্কর চক্রবর্তী,নাঈম আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-২(দিরাই ও শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার অনুকূল তালুকদার ডাল্টন বলেছেন,আমি জাতির পিতার একজন কর্মী হিসেবে ভূল করতে পারি কিন্তু আমার নেত্রী বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও তার সরকার ভূল করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন তার সুফল কিন্তু সুনামগঞ্জের অবহেলিত ২ আসনের মানুষজন পাচ্ছেন না। কেননা এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনা গুপ্তা একজন সৎ,র্নিলোভ স্বজ্জ্বন এবং আমাদের অভিভাবক প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরজ্ঞিত সেন গুপ্তার সহধর্মিনী হলে ও তিনি বয়সের ভারে প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। তাছাড়া জয়া সেনের সাথে গুটি কয়েকজন মানুষের কারনে তিনি বির্তকিত হচ্ছেন এবং এই দিরাই শাল্লার ,মানুষজন সুষম উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই আসনের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির মানুষজন এখন তরুণ, কর্মট হিসেবে আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছেন সেই আশায় এবং মানুষের ভালবাসায় সবার অকুন্ঠ জনসমর্থন পেয়ে এই দিরাই শাল্লার প্রতিটি গ্রামগঞ্জের মাঠেঘাটে চষে বেরিয়ে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো জাতির সামনে তুলে ধরছি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা সুনামগঞ্জ-২ আসনে আমাকে নৌকার প্রার্থী করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মনোনয়ন পেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল মানুষজন ও আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে এই আসনের গ্রামকে শহরের পরিণত করার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন,মানুষের বাক স্বাধীনতা,সাামজিক মূল্যবোধ,ন্যায় বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে সমাজে অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমে যাবে। তিনি আরো বলেন,আওয়ামীলীগের মতো একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর লবিং থাকাটা স্বাভাবিক,একটি গাছে একাধিক ফুল ফুটবে এরমধ্যে যিনি তরুণ,উদীয়মান,সব সময় এলাকার সাধারন জনগনের সুখ দুঃখে পাশে থেকে জনকল্যাণে কাজ করে যান এবং তিনি যদি সৎ,নিষ্ঠাবাদ,দায়িত্বশীল হন নেত্রী এমন কর্মট ব্যক্তিকে নৌকার মাঝি করবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তিনি দিরাই শাল্লার সর্বস্তরের জনগনের ভালবাসায় সিক্ত উল্লেখ করে বলেন,যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিরাই শাল্লায় নৌকা মাঝি হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে এই দুটি উপজেলার মানুষের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ সকল গ্রামেগঞ্জে মন্দির,মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে দেযার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।