চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাসের (সিসিসিআই) জেনারেল সেক্রেটারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকের অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছ্বাচারিতা ও অতিমাত্রায় আওয়ামী প্রতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
রোববার বিকালে আগ্রাবাদস্থ একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন দি চট্টগ্রাম জেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেনারেল সেক্রেটারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি এবং গত ৭ বছর ধরে অকারণে কর্মচারী ছাঁটাই, দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখাসহ কোটি কোটি টাকা দূনীতির মাধ্যমে সিসিসিআই থেকে আত্মসাৎ করেছেন। ২০০৮ সালে ১২ হাজার টাকায় যোগদান করেন চেম্বার সচিব। বর্তমানে দুই লক্ষ ছেষট্টি হাজার পাঁচশত চল্লিশ টাকা বেতন নিচ্ছেন। চেম্বারের ইতিহাসে নজিরবিহীন ৬৬টি প্রকল্প নিয়ে একসাথে ৭৭ হাজার টাকা বৃদ্ধি করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভাংগা গড়ার প্রকল্প করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন। তিনি পুরাতন চেম্বার ভবন (৬ তলা বিশিষ্ট) মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে ফেলেন। ভাংগার পূর্বে ৭৫ লক্ষ টাকার ইনটেরিয়র ডেকোরেশন করেন। যা তার অর্থ আত্মসাৎ করার অপকৌশল।
২৪তলা বিশিষ্ট ভবনটির এখনো ৫ শতাংশ বেশি ভাড়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, চেম্বারের মেগা প্রজেক্ট, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা চেম্বারের তত্ত্বাবধায়নে না করে জাবেদ আলী নামক এক ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়ে কোটি কোটি টাকা থেকে চেম্বারকে বঞ্চিত করে আসছে জেনােেরল সেক্রেটারী। আগ্রাবাদে অবস্থিত আজিজ কোর্ট, সেনাকল্যাণ ট্রেড সেন্টার, ৭১ জয় বাংলা টাওয়ার, রেডিসন ব্লু ইত্যাদি প্রজেক্টের পরে নির্মিত হওয়ার পরেও পরিপূর্ণরূপে ভাড়া হয়ে যায়। কিন্তু চেম্বার ভবনটির মাত্র ৫% এর মত ভাড়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকের পদত্যাগ করার দাবি জানানো হয়।