নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকার পরিবর্তন হতে না হতেই কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা সেজে তোফাজ্জল, মোজাফফর ও তার দুই ভাজিতা জিহাদ ওরফে নূর আলম, জিসান ওরফে গোলাম রহমান গং প্রথিতযশা সিনিয়র সাংবাদিক মোরছালীন বাবলার জমি দখল করে নিয়ে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করেছে।
বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির নামধারী এসব নেতার নেতৃত্বে বালু ভরাট করে জায়গাটি দখল করে নিয়ে নেয়। রোববার ১৮ আগস্ট সকাল থেকে বালু-সিমেন্ট-ইট নিয়ে এসে সেখানে নির্মাণ করাজ শুরু করে তারা। তাদের বারবার বাধা দেওয়া হলেও আমাকে ও আমার লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এব্যাপারে জেলা প্রশাসককে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মারফত ও মোরছালীন বাবলা বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জানালেও কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপর ফতুল্লা থানা এলাকার কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া এলাকায় সিনিয়র সাংবাদিক ও যুগের চিন্তা পত্রিকার সম্পাদক মোরছালীন বাবলার নিজস্ব জমিতে বালু ফেলে ভরাট করে দখলে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে সন্ত্রাসী তোফাজ্জল, মোজাফফর বাহিনীর সদস্যরা। শামীম ওসমানের কুখ্যাত সন্ত্রাসী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনিজামের শেল্টারে এতোদিন থেকে এখন ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা সেজে জমিটি দখলের পায়তারা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার জোরপূর্বক জায়গা দখলের করতে গেলেও প্রশাসনের কারণে পারেনি। জায়গাটিতে বারবার মালিকানার সাইনবোর্ড লাগালেও স্থানীয় সন্ত্রাসী তোফাজ্জল, মোজাফফর বাহীনির লোকজন সেই সাইনবোর্ড তুলে ফেলতো। এই সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি জোর করে দখল করার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার আরেক অনুসারী সন্ত্রাসী শাহ নিজামের ঘনিষ্ট ছিলেন। শামীম ওসমান ও শাহ নিজামের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার অসহায় মানুষের ওপর নানান অত্যাচার করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে তাদের ওপর চালানো হতো নির্যাতন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগের থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই তারা নিজেদেরকে একদিনের মধ্যে ভোল পাল্টে বিএনপির নেতা পরিচয় দিতে থাকে এমনকি আবারো শুরু হয় মানুষের প্রতি জুলুম অত্যাচার। এই সুযোগে গত ১০ আগস্ট বালু ভরাট করে সিনিয়র সাংবাদিক মোরছালীন বাবলার জমি দখলের সময় সন্ত্রাসী তোফাজ্জল ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার ও তার খালা জাহানারা বেগম জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে প্রশাসনের লোকজন না আসে, নির্বিঘ্নে লেবারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা যায় সেটি পাহারা দিচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, এই জমির মালিকানার জন্য যে সকল কাগজপত্র থাকা দরকার তার কোনটিই নেই এ সকল ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের কাছে কিন্ত তা না থাকা সত্ত্বেও তারা অবৈধ ভাবে এই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা বারবার চালিয়ে যাচ্ছে। জমির প্রকৃত মালিক সাংবাদিক আবু আল মোরছালীন বাবলা এই জমির প্রকৃত মালিক। জমিটি আবারো দখলের পায়তারা করছে সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আবু আল মোরছালীন বাবলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে তোফাজ্জল ও মোজাফফ গংয়ের নাম্বারে একাধীক বার ফোন করলে তাদের নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়নি।